প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে বিস্ফোরক মমতা। নিশানা ডিএ আন্দোলনকারীদেরই। প্রাথমিকের চাকরিহারাদের পাশে পর্ষদ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে। শর্তসাপেক্ষে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে তৃণমূল। কর্ণাটকে জয়ের পর জোট নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা। জয়ের পরও কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে বিপাকে কংগ্রেস। ‘মোকা’-র দাপটে লণ্ডভণ্ড মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত ৬; ৭০০ ছাড়াল আহতের সংখ্যা। ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ বাংলাদেশের কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘অভিষেকের গ্রেপ্তারি সময়ের অপেক্ষা’, বিস্ফোরক সুকান্ত, পালটা তৃণমূলের
আরও শুনুন: 13 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ব্যর্থ মোদি-ম্যাজিক, ১৩৬ আসন পেয়ে কর্ণাটকে বড় জয় কংগ্রেসের
বিস্তারিত খবর:
1. ডিএ আন্দোলন নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ইস্যুতে তিনি একযোগে আক্রমণ করলেন বাম ও বিজেপিকে। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি খুঁজে নিন, আরও বেশি ডিএ পাবেন। ডিএ বাধ্যতামূলক নয়। টাকা থাকলে ভালবেসে দিতাম।” এখানেই থামেননি তিনি। প্রাথমিকের যে ৩৬ হাজার শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন, তার জন্যও ডিএ আন্দোলনকেই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “এবারও ৩ শতাংশ ডিএ পেয়েছে ওরা। তারপরও রোজ লড়ছে। আর আজ ওদের জন্যই ৩৬ হাজার চাকরি গেল। এতগুলো পরিবার অসহায়।” আন্দোলনকারীদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা আরও বলেন, “আমি কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করিনি। তার মানে কিন্তু আমি দুর্বল নই।”
কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। অনশন, কর্মবিরতি-সহ একাধিক পদক্ষেপ নেন আন্দোলনকারীরা। এভাবে সার্ভিস রুল ব্রেক করা হচ্ছে বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠকেও মেলেনি সমাধানসূত্র। আইনি লড়াইয়ের জল সুপ্রিম কোর্ট অব্দি গড়ালেও সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট রায় আসেনি। এর মধ্যেই ডিএ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হতে পারে মঙ্গলবার। অন্যদিকে, চাকরি বাতিলের রায়ে সংশোধনী চেয়ে সোমবার বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিকে বাতিল ঘোষণা করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৩ মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল থেকে নিয়োগ করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই রায়ের পরই আইনি পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। সেইমতোই চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিকে এদিন প্রাথমিকের ৩৬ হাজার চাকরিহারার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চাকরিহারা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে মমতা সাফ জানিয়েছেন, চাকরি বাতিলের নির্দেশে প্রয়োজনীয় আইনি লড়াই লড়বে রাজ্য।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।