জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে কংগ্রেস। অবশেষে স্বীকার রাহুল গান্ধীর। বিজেপিকে হারাতে ডাক নতুন লড়াইয়ের। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ঘোষণা সোনিয়ার। ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথেও গোষ্ঠীকোন্দলের ছাপ। গড়ফায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে চলে গেলেন অজি তারকা অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। ইতিহাস গড়ে প্রথমবার থমাস কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন টিম। প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী। ঘোষণা ১ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কারের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ইস্তফা বিপ্লব দেবের, ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
আরও শুনুন: 12 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আদালতের
বিস্তারিত খবর:
1. মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে কংগ্রেস। অবশেষে স্বীকার করে নিলেন রাহুল গান্ধী। একের পর এক রাজ্যে হারের পর আত্মসমালোচনার পথেই হাঁটলেন রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। জনবিচ্ছিন্নতার কথা স্বীকার করে নিয়েও রাহুলের দাবি, বিজেপিকে হারাতে পারে একমাত্র কংরেসই। আঞ্চলিক দলগুলোর কোনও আদর্শ নেই। একমাত্র আদর্শগত লড়াইয়েই বিজেপির মতো দলকে হারানো সম্ভব। তাই কর্মীদের উদ্দেশে নতুন করে লড়াই শুরু ডাক দেন দিন। বার্তা দেন মানুষের কাছে ফেরার। এর আগে কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করে লড়াই করা উচিত কংগ্রেসের, দিন কয়েক আগেই প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেস হাই কম্যান্ডকে এই পরামর্শই দিয়েছিলেন। কিন্তু রাহুল এদিন সেই পরামর্শ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। উদয়পুরে নব নব সংকল্প শিবিরের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের ভাষণে রাহুল জানান, বিজেপি ও আরএসএস-এর আদর্শের সঙ্গে তাঁর আজীবনের লড়াই। তিনি শেষ পর্যন্ত এই লড়াই লড়ে যাবেন বলে কর্মীদের জানান রাহুল। নয়া লড়াইয়ের ডাক দেওয়ার পরই রাহুলের সভাপতি পদে ফেরা নিয়ে বাড়ল জল্পনা। এদিকে আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কংগ্রেস শুরু করতে চলেছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। নয়া এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
2. ত্রিপুরায় নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণেও পড়ল গোষ্ঠীকোন্দলের ছাপ। বিপ্লব জমানায় ইতি টেনে নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানিক সাহার নাম ঘোষণা করতেই ত্রিপুরাতে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ হয়ে পড়ে। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি নয় মন্ত্রিসভার একাংশ। এদিন শপথগ্রহণ পর্বেও সেই ছায়া দেখা গেল। শপথগ্রহণে হাজির ছিলেন না উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন, কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল-সহ বিধায়কদের একাংশ। যদিও শপথগ্রহণের পর রাজভবনে গিয়েছিলেন দুই মন্ত্রী। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, বিপ্লব দেবের একনায়কতন্ত্রে অতিষ্ঠ ছিলেন বিধায়ক এবং দলীয় কর্মীদের একাংশ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছিলেন বিক্ষুব্ধদের অনেকেই। ক্ষোভে দলত্যাগ করেছিলেন কেউ কেউ। এমন পরিস্থিতিতে বিপ্লব পদ ছাড়লেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মানিককে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর সিদ্ধান্তে খুশি নন তাঁরা। আদি কংরেসি মানিককে কিছুতেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে পারছেন না দলের দীর্ঘদিনের কর্মী ও বিধায়করা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে বড়সড় ভাঙন ঘটতে পারে ত্রিপুরার বিজেপিতে। যার সুফল পেতে পারে তৃণমূল কিংবা কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা। বিধানসভা ভোটের ১০ মাস আগে দলের এই ফাটলে নিঃসন্দেহে বিজেপি নেতৃত্বের উপর চাপ বাড়বে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।