স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই চব্বিশের সুর বাঁধলেন মোদি। আগামী বছরও লালকেল্লায় আসবেন তিনিই, হুঁশিয়ারি ইন্ডিয়া জোটকে। মুখ খুললেন মণিপুর ইস্যুতেও। রেড রোডে পতাকা উত্তোলন মুখ্যমন্ত্রীর। স্বাধীনতা দিবসের রীতি ভাঙলেন খাড়গে। বেনজিরভাবে লালকেল্লার অনুষ্ঠান ‘বয়কট’ বিরোধী দলনেতার। পুজোর আগেই দুবাই ও স্পেনে যেতে পারেন মমতা, কথা হতে পারে শিল্পপতিদের সঙ্গে। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু ইস্যুতে TMCP-কে নির্দেশ মমতার।যাদবপুর কাণ্ডে এবার প্রকাশ্যে বিস্ফোরক চ্যাট। প্রয়াত ময়দানের বড়ে মিঞা মহম্মদ হাবিব।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘যাদবপুরের ছেলেটাকে মেরেছে মার্কসবাদীরা’, বামেদের নিশানা মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনের পর লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শেষ স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকে প্রত্যাশিতভাবেই লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন তিনি। পরিবারতন্ত্র থেকে শুরু করে দুর্নীতি, সব ইস্যুতে বিরোধীদের আক্রমণ শানালেন মোদি। একইসঙ্গে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতিও দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিনের ভাষণে ‘দেশবাসী’-র বদলে নাগরিকদের ‘পরিবারজন’ বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকদের মতে, চব্বিশের নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই নয়া সম্বোধন মোদির। এমনকি এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের শুরুতেই উঠে আসে মণিপুর হিংসার প্রসঙ্গ। উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে বেলাগাম হিংসা হয়েছে মেনে নিয়েও মোদির দাবি, গোটা দেশ মণিপুরের পাশে আছে। মণিপুরে শান্তি ফিরছে দাবি করে বস্তুত এদিন বিরোধীদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। নোটবন্দি, কৃষি আইনের মতো বিতর্কিত বিষয়ে বিরোধীদের তোপের জবাবেই এদিন ‘রিফর্ম, পারফর্ম, ট্রান্সফর্ম’ মন্ত্র শোনালেন মোদি। দুর্নীতি আর পরিবারতন্ত্র নিয়ে একযোগে বিঁধলেন কংগ্রেস সহ বিরোধীদের। সাফ জানিয়ে দিলেন, ভাই-ভাতিজার রাজনীতির জেরে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের বিকাশ। দেশের উন্নতির স্বার্থেই পরিবারতন্ত্রকে একেবারে উৎখাত করে ফেলার ডাক দিলেন তিনি। একইসঙ্গে, মজবুত তথা স্থির সরকারের আবেদন জানিয়ে ইঙ্গিতে ইন্ডিয়া জোটকে প্রত্যাখ্যান করার ডাক দিলেন তিনি। লালকেল্লার দীর্ঘ ভাষণের শেষে তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে বললেন, “আগামী বছর আবার স্বাধীনতা দিবসে এখানেই আপনাদের সামনে আসব। আর এক বছর ধরে আমরা কী কী কাজ করলাম, তার খতিয়ান দেব।” অর্থাৎ বুঝিয়ে দিলেন, ইন্ডিয়া জোটের যাবতীয় বিরোধিতা সত্ত্বেও চব্বিশে ফের প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরছেন তিনিই। সব মিলিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি।
2. ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে রেড রোডের অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাল্যদান করলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে। পতাকা উত্তোলনের পর এদিন কৃতীদের হাতে পদক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। এদিকে মঙ্গলবার সকালে ব্যারাকপুরের গান্ধী ঘাটে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যসংস্কৃতি বিভাগ আয়োজিত একটি প্রার্থনাসভায় যোগ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। গান্ধী স্মারক স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন তিনি। অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্যপালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকেরা।
অন্যদিকে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহেও স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রথা বজায় রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগ থেকে রাজনৈতিক হিংসা, একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল, পালটা তাঁকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিরোধ পেরিয়ে নিয়ম মেনেই স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রাজভবনের চা চক্রে যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ বিশিষ্টজনেরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।