রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট পিছনো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকেই। দেশে অব্যাহত করোনার সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত ২ লক্ষ ৬৪ হাজার জন। মৃত্যু ৩১৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমল রাজ্যের সংক্রমণ। করোনা আবহেই হবে সংসদের বাজেট অধিবেশন। কেপ টাউনে লজ্জার হার নিয়েই মাঠ ছাড়ল কোহলির ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও পিছিয়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়া।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 জানুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- জন্মজয়ন্তীতে স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধার্ঘ্য মোদি-মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট পিছনোর ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানাল কলকাতা হাই কোর্ট । আদালতের তরফে প্রশ্ন বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ির ভোট আগামী ৪ কিংবা ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে কিনা, তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে হাই কোর্ট।
ভোট পিছনো সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে দড়ি টানাটানি হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, একবার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে আর তা পিছনোর কোনও এক্তিয়ার তাদের নেই। একমাত্র রাজ্য সরকার যদি অতিমারি আইন অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় এখন ভোট করা সম্ভব নয়, তবে তা পিছনো সম্ভব। তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সহমত নয় রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, একবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে আর রাজ্যের কোনও দায়িত্বই থাকে না। সেক্ষেত্রে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার শুধুমাত্র রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরই রয়েছে। দু’পক্ষ সহমত হতে না পারায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হয় হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শেষ হয়ে যায়। রায়দান স্থগিত রাখা হয়। তবে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের তরফে ভোট পিছনোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী ৪ কিংবা ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে কিনা, তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।
2. ময়নাগুড়ির কাছে গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেস বেলাইন হওয়ার আগে বিকট শব্দ শোনা গিয়েছিল। তারপরেই হুড়মুড়িয়ে লাইন থেকে ছিটকে পড়ে একের পর এক বগি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সবার মুখেই কমবেশি এই একই কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু ওই শব্দ ঠিক কীসের? তাহলে কি লাইনে ফাটল ধরেছিল আগেই? না কি খোলা ছিল রেললাইনের রেল ও স্লিপারের জোড়ের প্যান্ড্রোল ক্লিপ? আর এর সুবাদেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে নাশকতার আশঙ্কা জোরাল হয়ে উঠছে। রেলের তরফে ইতিমধ্যেই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের কথা বলা হয়েছে। নাশকতার তত্ত্ব সরাসরি খারিজ না করে পুলিশও সব দিক খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তরবঙ্গ পুলিশের আইজি দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, “প্রাথমিক তদন্তে নাশকতার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে এই ঘটনার তদন্ত করা হবে। সব কিছুই তখন খুঁটিয়ে দেখা হবে।” ময়নাগুড়ির ওই এলাকায় একসময় কেএলও (KLO) জঙ্গিরা দাপিয়ে বেড়াত। এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে তাদের কোনও হাত আছে কি না, সেই সংশয়ও ওড়ানো যাচ্ছে না।
এদিকে, দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ি পৌঁছে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এসে চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। কেমন করে এই দুর্ঘটনা ঘটল আহতদের কাছ থেকে তার খোঁজ নেন তিনি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার, হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাও জানতে চান। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিশ্রমের প্রশংসা করেন তিনি। পাশাপাশি রেলমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনার কারণ শীঘ্রই সামনে আসবে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।