লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক অমিত শাহর। ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে দিলেন বাংলায়। মিলবে না একটি আসনও, পালটা চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। নববর্ষের আগে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বগটুই গ্রামে গিয়ে স্বজনহারা মিহিলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শাহর। বীরভূমে দলীয় কার্যালয়েরও উদ্বোধন নেতার। রাজভবনের সঙ্গে নয়া সংঘাত রাজ্যের। শিশোদিয়ার পর কেজরিওয়ালকেও তলব সিবিআই-এর। সরকারি বাংলো ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু রাহুল গান্ধীর।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলা সফরে অমিত শাহ। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না তিনি। পরিবর্তে অনুব্রতগড়ে দাঁড়িয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাত করার ডাক দিলেন শাহ। নিয়োগ দুর্নীতি, রামনবমীর অশান্তি, এমন একাধিক ইস্যুতে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ‘হিটলার’ বলে কটাক্ষ করে শাহের আশা, সাধারণ মানুষ ভোটবাক্সে তাঁকে ‘যোগ্য’ জবাব দেবেন। এদিন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ উড়িয়ে বাংলার উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অবদানের খতিয়ান তুলে ধরেছেন তিনি। আগামী লোকসভায় ফের নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, এই বার্তা দিয়ে সিউড়ির সভা থেকে বঙ্গ বিজেপিকে টার্গেট বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির ঘোষণা, লোকসভায় বাংলা থেকে যদি ৩৫ আসন বিজেপি পায়, তাহলে ২০২৬ সালের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পড়ে যাবে। যদিও শাহের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে তৃণমূল শিবির। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “২০২১ সালেও বাংলা থেকে উনি ২০০ আসন পাওয়ার দাবি করেছিলেন, তারপর কী হয়েছে সবাই জানে। ৩৫ কেন, ১টা আসন পেতেও এবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে।” শাহকে পালটা দিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, পার্থ ভৌমিক, সুখেন্দুশেখর রায়-সহ তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে এদিন ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির।
2. প্রতি বছরের মতো এবারও পয়লা বৈশাখের ঠিক আগের দিন কালীঘাটে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় প্রতি বছরই এই দিনে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতোই শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ কালীঘাট মন্দিরে পৌঁছে যান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে মন্দির চত্বর ঘিরে ছিল আঁটসাট নিরাপত্তা। এদিন সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, দেশের জন্য, বাংলার জন্য, সকলের মঙ্গলের জন্য পুজো দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে প্রত্যেককে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাট মন্দিরে পুজো সেরে মন্দির চত্বরে যে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে, তাও ঘুরে দেখেন তিনি। এরপরে ওই এলাকারই নকুলেশ্বর ভৈরব মন্দিরেও যান মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে শুক্রবারই বঙ্গসফরে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সন্ধেয় প্রায় একই সময়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে। অর্থাৎ একদিকে যখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মা ভবতারিণীর পুজো দিলেন, তখন অন্যদিকে প্রতিবারের মতো কালীঘাট মন্দিরে হাজির রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।