বাংলার মঙ্গলকামনায় কালীঘাটে পুজো মুখ্যমন্ত্রীর। নবর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যবাসীকে। বদলে গেল নেহরু মিউজিয়াম। নতুন আঙ্গিকে সেজে ওঠা মিউজিয়াম হল ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়’। ফের রাজ্যপালের নিশানায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। ‘বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার’। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অভিযোগ রাজ্যপালের।সাতপাকে বাঁধা পড়লেন আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের
বিস্তারিত খবর:
১। রাজ্যবাসীর মঙ্গলকামনায় নববর্ষের প্রাক্কালে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরই পয়লা বৈশাখের আগে কালীঘাটে পুজো দেন মমতা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির পেরিয়েও থেকে যায় মানবিক ধর্ম। সেই ধর্মই পালন করে তিনি বাংলার সকল মানুষের হয়ে মায়ের কাছে পুজো দিলেন, যাতে সকলে ভালো থাকেন এবং শুভ বুদ্ধির উদয় হয়। বাংলার ধর্ম-সংস্কৃতিতে সম্প্রীতির যে বার্তা আছে এদিন তাও ধরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজে যেমন কালীঘাটে পুজো দিতে আসেন, তেমনই ইদ, বড়দিনেও অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি এদিন তিনি কালীঘাটের স্কাই-ওয়াক প্রকল্পের খোঁজখবরও নেন। জানান, কালীঘাট চত্বরকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে কোনও হকারকেই উচ্ছেদ করা হবে না। আপাতত তাঁরা হাজরা পার্কে অস্থায়ী স্টলে কাজ চালাচ্ছেন। পরে সকলকে ফিরিয়ে আনা হবে। দক্ষিণেশ্বরের আদলেই এখানেও তাঁদের স্টল করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। নববর্ষের প্রাক্কালে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছাও জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২। নেহরু মিউজিয়াম বদলে হল প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়। বৃহস্পতিবার আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তীতে এই সংগ্রহশালাটির উদ্বোধন করে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংগ্রহশালার প্রথম টিকিটটিও কেনেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর বাসভবন তিন মূর্তি ভবনে তৈরি হয়েছে মিউজিয়ামটি। এতদিন পর্যন্ত এই মিউজিয়ামে শুধু নেহরু সম্পর্কিত স্মৃতি রক্ষিত ছিল। এবার সেখানে নেহরু থেকে শুরু করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত – সকল প্রধানমন্ত্রীর জীবন, কাজ এবং অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীদের পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, সর্দার প্যাটেল, বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অবদানও ছবি-সহ তুলে ধরা হয়েছে। এই মিউজিয়াম তৈরির সি্দ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস। বিজেপি নেহরুর অবদানকে অস্বীকার করার লক্ষ্যেই নেহরুর স্মৃতি সম্বলিত মিউজিয়ামটিকে পরিবর্তন করে নতুন সংগ্রহালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই অভিযোগ করা হয়েছিল। অবশ্য বুধবার, প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেছেন যে ‘প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রহশালায়’ পণ্ডিত নেহরুকে একজন প্রতিষ্ঠান নির্মাতা হিসেবেই তুলে ধরা হয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।