৫০ জন পুরুষ যা পারেননি, মহিলা একাই তা পারলেন। আর সময় লাগল মাত্র ৫ সেকেন্ড। ভাবছেন তো কীসের কথা বলা হচ্ছে! তা হল মহিলাদের চূড়ান্ত যৌনসুখ অর্থাৎ অর্গ্যাজম। সম্প্রতি সেই ‘সিক্রেট’ ফাঁস করলেন মহিলা। আর যা শুনে তাজ্জব পুরুষরা।
যৌনতায় চূড়ান্ত তৃপ্তি অনেক মহিলার কাছেই যেন অধরা মাধুরী। সঙ্গী পুরুষটি যৌনতায় মেতে ওঠেন বটে, তবে ঠিক কী-সে যে সঙ্গিনী তৃপ্তি পাবে, সে বিষটি তাঁদের আয়ত্তের বাইরে। ফলে অনেক মহিলাই যৌনতায় পুরোপুরি তৃপ্তি পান না। সম্প্রতি সেই কথাটিই নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছেন এক মহিলা। তবে সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ফাঁস করেছেন এক সিক্রেটও। আর সেই সিক্রেটে নাকি মাত্র ৫ সেকেন্ডেই তৃপ্তি পেয়েছেন তিনি। স্বভাবতই তাঁর পোস্ট ঘিরে কৌতূহল উঠেছে তুঙ্গে। বিশেষত পুরুষরা জানতে চাইছেন, কোন কায়দায় সেই মধুর তৃপ্তির স্বাদ পেলেন মহিলা।
আরও শুনুন: দিনে দিনে কমছে যৌন ইচ্ছা, হস্তমৈথুনের সময় এই ভুল করছেন না তো!
অনেকেই ভাবেন, দীর্ঘক্ষণ যৌনতায় মাতলেই তৃপ্তি পাবেন মহিলারা। তা অবশ্য ভুল কিছু নয়। আসলে ঠিক কতক্ষণ যৌনতায় যে নারীদের তৃপ্তি মেলে, তা জানেন না অনেক পুরুষই। সম্প্রতি এক মার্কিন সমীক্ষা জানিয়েছে, সাধারণত পুরুষের তুলনায় মেয়েদের যৌন তৃপ্তি পেতে একটু বেশি সময় লাগে। ২৫ মিনিট ৫১ সেকেন্ড সময়কে তাঁরা আদর্শ সময় বলে মনে করছেন। প্রায় হাজার চারেক নারী ও পুরুষের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল ওই সংস্থা। সমীক্ষাকারীদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫-এর মধ্যে এবং তাঁরা প্রত্যেকেই গত ছ’মাসে নিয়মিত যৌন সম্পর্ক করেছেন। তাঁদের মিলনের সময়, এবং কতক্ষণ ধরে সেই সঙ্গম স্থায়ী হয়েছিল, এই সব প্রশ্ন খতিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে এসেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গড়ে ১১ মিনিট থেকে ১৪ মিনিট পর্যন্ত মিলনেই সম্পূর্ণ তৃপ্তি পান অধিকাংশ মহিলা, এমনটাই জানানো হয়েছিল সেই সমীক্ষায়। তবে এখানে সঙ্গমের ধারণাতেও বেশ বড়সড় গড়বড় আছে। যৌনসুখের জন্য কেবলমাত্র ‘পেনিট্রেটিভ সেক্স’ যথেষ্ট নয়। নারীদের ক্ষেত্রে যৌনতৃপ্তির বিন্দু শরীরের অন্দরে, অর্থাৎ ক্লিটোরিস। আর, পুরুষদের ক্ষেত্রে সেই মাধ্যম হল শিশ্ন বা পুরুষাঙ্গ। তবে বিশেষজ্ঞ জেসিকা গার্নার জানিয়েছেন, যৌনতা হল যৌন অঙ্গটিকে ঠিকঠাক ভাবে উদ্দীপ্ত করে তোলা। তা যেমন নিজে নিজে করা সম্ভব, তেমন সঙ্গীর দ্বারাও সম্ভব। তবে সঙ্গী যদি সেই কৌশল না জানে তাহলে কিছুতেই মহিলার পক্ষে অর্গ্যাজমে পৌঁছানো সম্ভব নয়। ঠিক সেই কথাটিই খোলসা করে জানিয়েছেন এই মহিলা।
আরও শুনুন: পুরুষরা জানেন তো! তৃপ্তির খোঁজে ঠিক কতক্ষণ যৌনতা চান মহিলারা?
তাঁর বক্তব্য, অন্তত জনা পঞ্চাশেক পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় মেতে উঠেছেন তিনি। তাঁরা সকলেই যৌনতায় অভিজ্ঞ। কিন্তু কেউই তাঁকে চূড়ান্ত তৃপ্তি দিতে পারেননি। এদিকে তিনি নিজে যখন তৃপ্তির খোঁজ করেছেন, তখন মাত্র ৫ সেকেন্ডেই তাঁর ক্লিটোরিস তাঁকে স্বর্গসুখের সন্ধান দিয়েছে। তাহলে গলদটা কোথায়? যাঁরা যৌনতা নিয়ে চর্চা করেন, তাঁরা বলছেন সমস্যাটা হচ্ছে কমিউনিকেশনে। যৌনতা তাড়াহুড়োর ব্যাপার নয়। এবং তা কেবলমাত্র দ্রুত সঙ্গম করে নিলেই সম্পূর্ণ হয় না। ঠিক সেই কারণেই মহিলা হয়তো বহু পুরুষের সঙ্গেই সঙ্গম করেছেন, কিন্তু কোনও পুরুষই তাঁর শারীরিক চাহিদা ও বৈশিষ্ট্য ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেননি। এ তাঁর একার সমস্যা নয়। বহু মহিলাই অর্গ্যাজম না পেয়ে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন। তাঁদের কাছে যৌনতা ব্যাপারটাই তাই দিনে দিনে পানসে হয়ে ওঠে। এদিকে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে তৃপ্তি মেলে ঠিকই, তবে পুরুষসঙ্গীর বিহনে সেই তৃপ্তি যেন খানিক খাপছাড়াই থেকে যায়। অনেকের তাই মত, ক্লিটোরিস আর পুরুষাঙ্গের স্পর্শে যৌনতায় যে বিদ্যুৎ খেলে যায় তা অনেক পুরুষ জানেন না। অথবা বুঝে উঠতে পারেন না। মহিলা যদি সঙ্গীকে সেই কৌশলটি দেখিয়ে দেন, তাহলে আর অর্গ্যাজম অধরা মাধুরী হয়ে থাকে না। হস্তমৈথুনের সময় যোনির ঠিক কতটা গভীরে কীভাবে স্পর্শসুখের বিন্দুতে মহিলা নিজে পৌঁছেছেন, তা যদি অন্তত সেক্স টয়ের মারফত পুরুষদের বুঝিয়ে দেওয়া যায় তাহলে আর সমস্যা থাকে না। মহিলাদের অর্গ্যাজম পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা স্থায়ী সমাধান বলেই মনে করছেন অনেকে। নারী যৌনতা সম্পর্কে বহু পুরুষেরই ধারণা স্বচ্ছ নয়। যৌনতৃপ্তির ক্ষেত্রে নারীরা তাই স্বমেহনকেই একমাত্রা রাস্তা মনে করেন। কিন্তু ওই পথটিই যদি পুরুষসঙ্গীকে দেখিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে বোধহয় আর এত সমস্যাই থাকে না। পছন্দের মানুষটিই তখন পৌঁছে দিতে পারেন যৌনসুখের কাঙ্ক্ষিত স্বর্গে।