সংসদ হামলার বর্ষপূর্তির দিনই আতঙ্ক ছড়াল লোকসভায়। আটক ৪ আততায়ী, তুঙ্গে জঙ্গি যোগের জল্পনা। নিরাপত্তা প্রশ্নে কেন্দ্রকে তোপ বিরোধীদের। একই দিনে জোড়া অঘটন বর্ধমান স্টেশনে। জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে মৃত্যু ৩ জনের, জখম অন্তত ৩০। দুর্ঘটনার পর অতিরিক্ত ভিড়ে পদপিষ্ট আরও ২।সংসদ থেকে বহিষ্কারের পর সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা মহুয়া মৈত্রর। দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ বিচারপতির। এবার প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ তৃণমূল নেত্রী।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই লোকসভায় ছড়াল আতঙ্ক। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন হামলার অভিযোগে আটক চারজন। ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে তদন্তে নামল আইবি। তুঙ্গে জঙ্গি যোগের জল্পনাও।
জানা গিয়েছে, বুধবার অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই গ্যালারিতে লাফিয়ে নেমে পড়ে দুই তরুণ। জয় ভীম স্লোগান দিয়ে সংসদে গ্যাস ছোড়ে তারা। কী করে জুতোর মধ্যে গ্যাস ক্র্যাকার নিয়ে তারা প্রবেশ করল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অজ্ঞাতপরিচয়রা গুলি চালাতে পারে বা বোমা ছুড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন তাঁরা। তদন্তে জানা গিয়েছে, হামলার সময়ে সংসদের বাইরে দাঁড়িয়েছিল আরও দুজন। জানা গিয়েছে, বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অনুমোদন পেয়েই সংসদের ভিতরে ঢোকেন সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি। মাইসুরুর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া সাগর। মনোরঞ্জনও মাইসুরুর বাসিন্দা। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের মধ্যে একজন মহারাষ্ট্রের অমল শিণ্ডে, অন্যজন হরিয়ানার বাসিন্দা নীলম সিং। আটক করার সময়ে নীলম জানান, বেকারত্বের প্রতিবাদ করতে চেয়েই তাঁদের এই পদক্ষেপ। তবে গোটা ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতির প্রশ্ন তুলে মোদি সরকারকে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। ‘যারা সংসদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা দেশের নিরাপত্তার দিতেও অক্ষম।’- সাফ মন্তব্য তৃণমূল শিবিরের। ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিবৃতি দাবি করেও সরব বিরোধী শিবির।
2. একই দিনে জোড়া দুর্ঘটনা বর্ধমান স্টেশনে। ভরদুপুরে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে জখম কমপক্ষে ৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ব্যস্ত সময়ে এই দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েন যাত্রীরাও। জানা গিয়েছে, বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে ছিল ওই ৫৩ হাজার গ্যালনের জলের ট্যাঙ্কটি। এদিকে শেডের তলায় ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বহু যাত্রী। ওই শেডের ঠিক উপরেই ছিল জলের ট্যাঙ্কটি। আচমকাই ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ায় বহু যাত্রী ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান। তড়িঘড়ি পুলিশ, রেলের আধিকারিকরা পৌঁছন ঘটনাস্থলে। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। দুর্ঘটনার পরই ওই ১, ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর ৪ এবং ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। আপ এবং ডাউন দুটি ট্রেনই ওই দুটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোয় স্বাভাবিকভাবেই ভিড় বাড়তে থাকে। সেই হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে জখম হন আরও ২ জন। আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পরেও কেন বর্ধমান স্টেশনে নিরাপত্তা বাড়াল হল না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।