তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার ১১ কোটি টাকা। ‘ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মজুত’ সাফাই প্রাক্তন মন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ভেজাল হিন্দু’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর। ‘ঘৃণা-ভাষণের’ অভিযোগে সরব তৃণমূল। গলদ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা বলয় ভেঙে মোদিকে মালা পরানোর চেষ্টা যুবকের। ফুটবলার পৌলমীর পাশে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ ক্রীড়ামন্ত্রীর, আশ্বাস চাকরিরও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 11 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- শিল্পের জমি ফেলে রাখলে ফিরিয়ে নেবে রাজ্য, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়
আরও শুনুন: 10 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- এজলাস বয়কটে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রুল জারি বিচারপতি মান্থার
বিস্তারিত খবর:
1. পার্থ-অর্পিতা কাণ্ডের পর ফের নগদ টাকা উদ্ধার রাজ্যে। এবার জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে নগদ ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করলো আয়কর দপ্তর। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়কের বাড়ি, অফিস এবং গুদামে তল্লাশি চালান আয়কর আধিকারিকরা। তল্লাশির সময় বিধায়কের অফিস থেকে ৯ কোটি টাকা এবং কারখানা এবং গুদাম থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করেন আধিকারিকরা। কোথা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা এল, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানায়নি আয়কর দপ্তর। তবে এ বিষয়ে তৃণমূল বিধায়কের সাফাই, শুধুমাত্র ব্যবসায়িক প্রয়োজনেই বাড়িতে টাকা মজুত করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারির শিকার হন জাকির। আর সেই হুঁশিয়ারির পরই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। জানা গিয়েছে, রাজনীতির পাশাপাশি জাকির বিড়ির ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। বর্তমানে তাঁর বিড়ি কারখানা এবং চালকলে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক নিযুক্ত। তাই টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে তাঁর দাবি,”৭ হাজার শ্রমিক আমার। কৃষিক্ষেত্রে পুরোটাই নগদে ব্যবসা হয়। সবটাই শ্রমিকদের টাকা। কৃষকদের টাকা। চাষিরা যদি টাকা না পায় তাঁরা বিক্ষোভ করবেন। আমরা অনেককে কাজ দিই। সেই কাজ ব্যাহত না হোক, সেটাই চাইব।” তবে তাঁর এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধী শিবির। একজন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়কের বাড়িতে কীভাবে এত কোটি কোটি টাকা থাকে, সে প্রশ্ন তুলেই সরব হয়েছেন তাঁরা।
2. ‘হিন্দুত্ব’ ইস্যুতে করে তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ভেজাল হিন্দু’ বলে বেনজির কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বৃহস্পতিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন তথা যুবদিবস উপলক্ষে হাওড়ার শ্যামপুরে দেওড়া এলাকায় আয়োজিত রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠানের পর তিনি সাংবাদিকরা তাঁকে গঙ্গা আরতির প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন। সেখানেই শুভেন্দুর জবাব, “মমতা তো ভেজাল হিন্দু। কেউ বিশ্বাস করে না। বন্দে ভারত উদ্বোধনের দিন তিনি যেভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের জবাবে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করেন, যেভাবে রামচন্দ্রকে অপমান করেন, তাতে উনি প্রকৃত হিন্দু হতে পারেন না।” তবে এহেন মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে তৃণমূলয়ের তরফে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একে ‘ঘৃণা ভাষণ’ বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “এটা হেট স্পিচের মধ্যে পড়ে ৷ এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মধ্যে পড়ে। আমি রাজাশেখর মান্থাকে অনুরোধ করব, আপনি স্বতঃপ্রণোদিত ব্যবস্থা নিন।” এরকম ঘৃণা-ভাষণ কেন বিচারপতি মান্থার চোখে পড়ছে না, সে প্রশ্নই তুলেছেন কুণাল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।