পাখির চোখ উত্তর-পূর্বের নির্বাচন। ফের মেঘালয়ে ভোটপ্রচারে যাচ্ছেন মমতা ও অভিষেক। ত্রিপুরাতেও মোদির পালটা জনসভা করতে পারেন অভিষেক। বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের পালটা তৃণমূলের। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার গড়ার ডাক কুণাল ঘোষের। ফের রনজি ট্রফির ফাইনালে উঠল বাংলা। বাংলার বোলারদের দাপটে লড়াই থামল মধ্যপ্রদেশের। ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিলেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. পাখির চোখ উত্তর-পূর্বের নির্বাচন। দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষবেলায় প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে তৃণমূল। ফের মেঘালয়ে ভোটপ্রচারে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইভাবে ত্রিপুরাতেও জমি দখল করতে মরিয়া তৃণমূল।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে ভোট। তৃণমূল সূত্রের খবর, তার আগে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ থেকেই মেঘালয়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। নির্বাচনী জনসভার পাশাপাশি দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক আলোচনাও সেরে নিতে চান মমতা। তার আগে টানা পাঁচদিন মেঘালয়ে থাকার কথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবারই ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তিনি। সেদিন ত্রিপুরায় সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অভিষেক তার পালটা সভা করবেন বলে খবর। এরপর সম্ভবত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেঘালয়ে থাকতে পারেন অভিষেক। সেখানে একাধিক জনসভা, রোড শো এবং সাংগঠনিক বৈঠক করতে পারেন তিনি। সীমান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে আপাতত কোণঠাসা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেশ চাপে শাসক দল এনপিপি-ও। এই পরিস্থিতিতে সে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য সর্বশক্তি নিয়েই ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল।
2. ভোটে ক্ষমতা দখলের জন্য অন্যান্য রাজ্যের মতো ত্রিপুরাতেও ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের তত্ত্ব নিয়ে হাজির বিজেপি। সে রাজ্যে প্রচার করতে গিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকলে, রাজ্যে উন্নয়ন হবে দ্বিগুণ গতিতে। এবার বিজেপির সেই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের পালটা তত্ত্ব দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রবিবার ত্রিপুরায় ভোটপ্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, ত্রিপুরাতে ডবল ইঞ্জিন সরকারই হবে। তবে ‘ডবল ইঞ্জিন’ বলতে তিনি পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা সরকারের একসঙ্গে চলাকে বুঝিয়েছেন। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল বলেন, “ত্রিপুরায় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার ভূমিপুত্রই হবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবেই চলবে দুই রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিনের কাজ।” তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বদলে ত্রিপুরায় নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিয়েছে বিজেপি। দিল্লি এবং ত্রিপুরার ডাবল ইঞ্জিন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলেই মত তাঁর। এদিকে বিজেপির পাশাপাশি বাম এবং কংগ্রেসের জোটকেও এদিন তুলোধোনা করেছেন কুণাল ঘোষ। বাংলার উন্নয়নের মডেলের চললেই ত্রিপুরার উন্নতি হবে বলে দাবি তৃণমূল মুখপাত্রের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।