ঘোষিত তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কর্মসমিতিতে মোট সদস্য ২০ জন। রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট শেষে মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও ভোটে হিংসার অভিযোগে সরব বিজেপি। হিজাব বিতর্কের আঁচ মুর্শিদাবাদের স্কুলে। হিজাব পরে না আসার নির্দেশ দিয়ে বিক্ষোভের মুখে প্রধানশিক্ষক। বেঙ্গালুরুতে আইপিএল-এর মেগা নিলামে বাজিমাত ঈশান কিষান, শ্রেয়স আইয়ারদের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. কালীঘাটের হাই-ভোল্টেজ বৈঠকের পর তৃণমূলের নতুন কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই কর্মসমিতিতে রয়েছেন মোট ১৯ জন। তাঁরা হলেন, অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুলুচিক বরাইক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুখেন্দুশেখর রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অসীমা পাত্র, রাজেশ ত্রিপাঠী, গৌতম দেব, মলয় ঘটক, অনুব্রত মণ্ডল, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং যশবন্ত সিনহা। ঘোষিত তালিকার অধিকাংশই দলের পুরনো সৈনিক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধি রয়েছেন এই তালিকায়। তবে, যশবন্ত সিনহা এবং রাজেশ ত্রিপাঠী ছাড়া ভিন রাজ্যের নামী নেতাদের অবশ্য দলের কর্মসমিতিতে এখনও জায়গা দেওয়া হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, দলের পদাধিকারীদের নাম এখনও ঠিক করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার অর্থ আপাতত তৃণমূলের শীর্ষস্তরের সব পদ অবলুপ্ত। এতদিন যারা পদাধিকারী ছিলেন তাঁরা আর কোনও পদে থাকলেন না। পরবর্তীকালে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে দলের মহাসচিব পর্যন্ত সব পদাধিকারীদের নাম জানাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনকেও।
এদিনই দলের অভ্যন্তরীণ কলহ নিয়ে যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আধঘণ্টা দলের দুই সেনাপতির সঙ্গে কথা বলেন নেত্রী। দলের প্রবীণ এবং নবীন নেতাদের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে তা দূর করে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন মমতা।
2. রাজ্যের চার পুরনিগম অর্থাৎ বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোলে ভোট মিটল শান্তিতেই। বিধাননগরের ৪১টি, চন্দননগরের ৩২টি, শিলিগুড়ির ৪৭টি এবং আসানসোলের ১০৬টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নিজেদের কাউন্সিলর বেছে নিতে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন শনিবার। সকাল ৭টা থেকে কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত আসানসোলে ভোটের হার ৭১.৯৮ শতাংশ। বিধাননগরে ৭১.৩২ শতাংশ, চন্দননগরে ৭১.০৬ শতাংশ এবং শিলিগুড়িতে ৭৩.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। মোটের উপর শান্তি বজায় থাকলেও খানিকটা অশান্তির আঁচ পড়ে আসানসোলে। প্রথমে উত্তপ্ত হয় আসানসোল পুরনিগমের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। বিজেপি প্রার্থী আদর্শ শর্মার অভিযোগ, বুথে দখল করে ছাপ্পা চলছিল। আটকাতে গেলে তৃণমূল প্রার্থীর নেতৃত্বে প্রায় ২০০ জন দুষ্কৃতী আদর্শের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করে দলীয় প্রার্থীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে বিজেপি। আরও কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে অশান্তির খবর আসে। জামুড়িয়ার শ্রীপুর হাইস্কুলের বুথে চলে গুলি। ১২ নং ওয়ার্ডের দুটি বুথ দখল করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিধি ভেঙে বুথে ঢোকার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে। চন্দনগর ও বিধাননগর থেকেও মেলে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। বিধাননগরে পুননির্বাচনের দাবিতে মহকুমা শাসকের দপ্তরে ধরনায় বসে বিজেপি। সামগ্রিক ভোট পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। এ ভোট গণতন্ত্রের সমাধি। কমিশনে নয়, প্রয়োজনে আদালতে যাব।” যদিও ভোটশেষে শাসক দলের তরফ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।”
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।