এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালেই আইনি পদক্ষেপ, বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অসমে পা রেখেই বিজেপিকে উৎখাতের ডাক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন। বিধায়ক পদে অবশেষে শপথ বাবুল সুপ্রিয়ের। আলুরমুল্য নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপের পথে রাজ্য সরকার, জানালেন কৃষিমন্ত্রী। ফের মোহনবাগানের সভাপতি হচ্ছেন টুটু বোস।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- উদ্ধার হয়নি নোবেল, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সিবিআইকে তোপ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে কড়া আইনি পদক্ষেপ করবে রাজ্য। সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরানোর অভিযোগ উঠেছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে শুধু আইনি পদক্ষেপই নয়, বাতিল হতে পারে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্সও।
বুধবার নবান্নে জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। আলোচনা হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও। তার পরই সাংবাদিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, “অনেক বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না। কী কারণে তারা এই কার্ড নিচ্ছে না, তা তাদের জানাতে হবে। বিষয়টা আমরা দেখছি।” এর পরই তিনি জানান, “স্বাস্থ্যদপ্তরকে বলা হয়েছে, যারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল করা হবে।” একইসঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে সমস্ত পদ ফাঁকা রয়েছে তা দ্রুত পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা মেলে ভিনরাজ্যের হাসপাতালেও। দেখা গিয়েছে, অনেকে ভিনরাজ্যে গিয়ে এই কার্ডের সুবিধা নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। যা নিয়েও এদিন কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা। এর পরই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের রাজ্যে ভাল ভাল হাসপাতাল আছে। কিছু কঠিন রোগ ছাড়া সবকিছুরই চিকিৎসা হয় এখানে। ভিনরাজ্যে না গিয়ে এখানে চিকিৎসা করানো উচিত। তেমনটাই মত মুখ্যমন্ত্রীর।
2. অসমে পা দিয়েই কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে নজর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গুয়াহাটির কর্মিসভা থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই কংগ্রেসকে দিয়ে হবে না। রাস্তায় নেমে লড়াই করতে হবে। সেটা একমাত্র তৃণমূলই পারে।” একইসঙ্গে তাঁর সদর্পে ঘোষণা, ‘তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি।’
২০২৬ সালে অসমে বিধানসভা ভোট। তাই সেরাজ্যে দলের শক্তিপরীক্ষার জন্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকেই টার্গেট করছেন তৃণমূল নেতা। অসমের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেকের আহ্বান, ”আপনারা শুধু কথা দিন, অসমে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ১৪টি আসনেই পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়বেন। আর ১৪টি আসনের মধ্যে অন্তত ১০টি আসনে তৃণমূলকে জিতিয়ে আনুন।”
অসমে ক্ষমতা দখল না করে যে পিছু হটবেন না, এদিন কর্মীদের উদ্দেশে তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন অভিষেক। এই লক্ষ্যে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে সেরাজ্যের রাজ্য কমিটি, জেলা কমিটি এবং প্রতিটি বুথে কমিটি গড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অভিষেক। জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মাসে ফের তিনি নিজে অসম যাবেন। শীঘ্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অসমের মাটিতে পা রাখবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। তবে, শুধু অসম নয়। উত্তরপূর্বের আরও দুই রাজ্যে ক্ষমতা দখলকে টার্গেট করেছেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, আগামী বিধানসভাতেই ত্রিপুরাতে ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল। মেঘালয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল। সেখানেও আগামী বিধানসভায় তৃণমূল ক্ষমতা দখল করবে বলে দাবি করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।