প্রকাশিত হল ২০২২ প্রাথমিক টেটের ফলাফল। পরীক্ষার দু’মাসের মাথায় ফলপ্রকাশ পর্ষদের। প্রথম বর্ধমানের ইনা সিং। পাশ করলেন দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী। সুবীরেশের ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি কাড়ল আদালত। গ্রুপ ডি’র ১,৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরায় সভা অভিষেকের। প্রেমদিবসে গরুকে আলিঙ্গনের আবেদন প্রত্যাহার। খারিজ বিবিসিকে নিষিদ্ধ করার আরজি। নাগপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পাল্লা ভারী ভারতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 ফেব্রুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাম জমানার ক্ষত সারাতে শিল্পে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ রাজ্যের
বিস্তারিত খবর:
1. পরীক্ষার দু’মাসের মাথায় প্রকাশিত হল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষার ফলাফল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখেই টেটের ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর হয়েছিল ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১০২ জন। পরীক্ষা হয়েছিল ১৫০ নম্বরের। পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছিল, ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই পরীক্ষার্থীদের টেট পাশের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী টেটে পাশ করলেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। প্রথম হয়েছেন বর্ধমানের ইনা সিং। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এত ভাল রেজাল্ট হবে, তা আশা করিনি। সুসংবাদ পেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন ইনা। তাঁর মতে, গত ডিসেম্বরের টেট যথেষ্ট স্বচ্ছ হয়েছে। আগামী দিনেও নিয়োগ স্বচ্ছ হবে বলেই তাঁর আশা। একইসঙ্গে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদেরও কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। তাঁদের আন্দোলনের সুফলই ইনা-দের মতো বর্তমান টেট পরীক্ষার্থীরা পেয়েছেন বলে মত তাঁর। অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ৫ জন। তৃতীয় হয়েছেন ৪ জন। এবং প্রথম দশে রয়েছেন ১৭৭ জন। সবমিলিয়ে বলা যায়, এবারের টেটে সব দিক দিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাউকে কোনও প্রশ্ন তুলতে দিল না পর্ষদ। এদিকে ফলপ্রকাশের পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। টেট নিয়ে পর্ষদের প্রশংসাই শোনা গেল তাঁর মুখে। পাশাপাশি তাঁর সতর্কবার্তা, কোনও পঈক্ষার্থী যদি দালালের ফাঁদে পা দেন, তার দায় পর্ষদের নয়। কিছুদিন আগেই তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছিল। এদিন তারই জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
2. শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এবার তাঁর ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি কাড়ল আদালত। শুক্রবার গ্রুপ-ডি সংক্রান্ত মামলার সওয়াল জবাবের সময়ই সুবীরেশকে এমন নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রথমেই ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি’ কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন তিনি। অবৈধভাবেই যে এঁদের সকলের চাকরি হয়েছিল, তা স্বীকার করে নেন এসএসসি’র আইনজীবীও। এরপরই বিচারপতি জানতে চান কার নির্দেশে বেআইনিভাবে ১ হাজার ৯১১ জনকে নিয়োগ করা হল। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে সেই নাম প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিয়ে এই মামলায় তাঁকে যুক্ত করেন বিচারপতি। একইসঙ্গে বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, যতদিন না পর্যন্ত এই মামলার নিষ্পত্তি হয় ততদিন সুবীরেশ তাঁর ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না। অন্যদিকে তাঁর পরিবারের প্রতি হামলার ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি চালানোরও নির্দেশ দেন বিচারপতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।