ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মহামিছিল শহরে। উৎসব ধর্ম, ঐক্য সম্পদ – বার্তা মমতার। ১১১ বছরের ইতিহাসে প্রথম। হাইকোর্ট চত্বরে আয়োজন শারদোৎসবের। আস্থা ভোটে সহজ জয় কেজরিওয়ালের। সরব সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি নিয়েও। ঢাকে কাঠি আইএসএল-এর। প্রকাশিত হল সূচি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 30 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- অভিষেককে সমন ইডির, হাইকোর্টে রক্ষাকবচ শ্যালিকার
আরও শুনুন: 29 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- সরকার ফেলতে নেতাদের গ্রেপ্তারের চক্রান্ত বিজেপির, তোপ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. বিশ্ব দরবারে অন্যতম সেরা উৎসবের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে ১ সেপ্টেম্বর মহানগরে আয়োজন করা হয়েছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে শুরু হয় মিছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ছিলেন তার নেতৃত্বে। রোদ-বৃষ্টি মাথায় করেই এদিনের মিছিলে পা মেলান অসংখ্য মানুষ। শোভাযাত্রার শেষে রেড রোডে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেই মঞ্চ থেকেই এদিন ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংস্থার প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দুর্গামূর্তি। এদিনের মঞ্চ থেকে ফের একবার ঐক্যের বার্তা দিলেন মমতা। এদিনও তাঁর মুখে শোনা গেল সব বর্ণ, সব শক্তিকে নিয়ে এগিয়ে চলার কথা। জানালেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “মানবতাই সব থেকে বড় শক্তি। তাই মানবতার সঙ্গে কোনও আপস নয়।” দুর্গাপুজোর ফলে রাজ্যের কত মানুষ উপকৃত হন, সেই খতিয়ানও এদিন তুলে ধরেন মমতা। বলেন, “একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ থেকে পুজো শুরু হয়ে গেল। খুশিতে থাকুন। মন ভাল রাখুন। মানবিক থাকুন। হৃদয়কে উদার করুন।” এসবের পাশাপাশি ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের কলকাতার পুজো দেখার আমন্ত্রণ জানান। বলেন, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি আরও উদ্বুদ্ধ করবে বাঙালিকে। এদিকে, বাংলার পুজোর ভূয়সি প্রশংসা করেছেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরাও। এমন বর্ণাঢ্য আয়োজনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানান তাঁরা।
2. ইউনেস্কোর তরফে বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। বিশেষ সম্মান পাওয়া পরে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে নিজের ছোট ভাই বলে সম্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুজোর সময়ে কলকাতায় না থাকলে এই আবেগ বোঝা যাবে না, বলেন সৌরভ। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের তেরঙ্গা উত্তরীয় পরিয়ে দেন সৌরভ। শুধুমাত্র ইউনেস্কোর প্রতিনিধিই নয়, তেরঙ্গা উত্তরীয় পরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও বরণ করে নেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। এদিন তিনি বলেন, “আমাদের কাছে দুর্গাপুজো কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আমি পৃথিবীর নানা দেশে ঘুরেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, সকলেরই দুর্গাপুজো দেখা উচিত।” ক্রীড়াজগতের প্রতিনিধি হিসাবে সৌরভ ছাড়াও এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাবের প্রতিনিধিরা। ইউনেস্কোর অতিথিদের হাতে বিশেষ উপহারও তুলে দেন সকলে। মোহনবাগানের তরফ থেকে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের হাতে বিশেষ জার্সি তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পালতোলা নৌকার একটি পেন্টিংও উপহার দেওয়া হয় তাঁদের। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব উপহার হিসাবে ডাকের সাজের দুর্গামূর্তি দেওয়া হয় ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের। ফাইবারের দুর্গামূর্তি দিয়ে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সম্মান জানান মহমেডান ক্লাব কর্তারা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।