ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর। সৌজন্য সাক্ষাৎ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেশখালি ইস্যুতে সরব মোদি, আত্মবিশ্বাসী মুসলিম ভোট নিয়েও। পালটা তৃণমূলের। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মোদিকে বিঁধলেন শশী-বীরবাহারা। সিআইডি হেফাজতে স্বমহিমায় শাহজাহান। রাজ্যসভাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোরগোড়ায় এনডিএ। সাসপেন্ড লাল-হলুদের অনূর্ধ্ব-১৭ দল।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ, শাহজাহানকে সাসপেন্ড তৃণমূলের
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গসফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি। শুক্রবার আরামবাগে সরকারি অনু্ষ্ঠান ও সভা সেরে রাজভবনে পৌঁছন মোদি। এদিন সেখানেই তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার বিহার, ঝাড়খণ্ডে সভা সেরে আরামবাগ এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিজেপি নেতৃত্ব ছাড়াও রাজ্যের তরফে ছিলেন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক বেচারাম মান্না। বাংলার জন্য সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের শিলান্যাস করে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে ওঠেন নরেন্দ্র মোদি। শুরুতেই সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তোলেন মোদি। বিজেপির চাপেই শেষ পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। এরপরই ভোটমুখী বঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা, “মুসলমান মা-বোনেরা তৃণমূলকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। সব আসনে পদ্ম ফুটবে।” এদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও সরব হন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, “কেন্দ্রের সব প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে রাজ্য। কারণ ওরা চায় কেন্দ্রের প্রকল্প থেকেও লুট করতে।” মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলা সফরেও রামমন্দির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মোদির মুখে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেও মোদির এই ভাষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব।
2. প্রোটোকল মেনে বঙ্গ সফররত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে রাজনৈতিক সংঘাতে ইতি পড়েনি। এদিন আরামবাগের সভা থেকে সন্দেশখালি, দুর্নীতি-সহ যে একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে যে আক্রমণাত্মক শব্দ প্রয়োগ করেছেন মোদি, তার তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। কাকলি ঘোষ দস্তিদার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও এ নিয়ে সরব তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ।
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জোর আক্রমণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এদিন নেতা-মন্ত্রীদের সোশাল মিডিয়া পোস্টে উঠে এসেছে এই প্রশ্ন, ‘আসছেন যখন বলে যান, MGNREGA টাকা আমরা কবে পাব?’ বীরবাহা হাঁসদা সরব হয়েছেন আদিবাসী ইস্যুতে। তাঁর অভিযোগ, বেছে বেছে বাংলার আদিবাসী শ্রমিকদের উপরই অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। একই ইস্যুতে সরব ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র। লোকসভা ভোটে এবার তৃণমূলের হাতিয়ার বকেয়া ইস্যুই। আর একে সামনে রেখেই মোদির সফরকে বিদ্ধ করতে চাইছে শাসকদল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।