তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে নতুন করে লড়াইয়ের বার্তা মমতা-অভিষেকের। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রকাশ্যে নবীন-প্রবীন মতানৈক্য। অভিষেককে নিয়ে বক্সীর মন্তব্যেও বিতর্ক। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির মধ্যেই বড় বিতর্ক। ‘টাকা নিয়ে চাকরি দুর্নীতি করেছেন কেউ কেউ!’ ঝড় ফিরহাদের মন্তব্যে। বছরের প্রথম দিনেই বড় বিপর্যয় জাপানে। ৭.৫ রিখটার স্কেলে তীব্র ভূমিকম্প, আছড়ে পড়ল ভয়াবহ সুনামি। পুলওয়ামা হামলার চক্রী মাসুদ আজহারের মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম। দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুর সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 31 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘বাংলার মাটি’ গানে কোনও বদল নেই, বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের
আরও শুনুন: 30 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিন দেশজুড়ে অকাল দীপাবলির ডাক মোদির
বিস্তারিত খবর:
1. বছরের প্রথম দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবস ঘিরে অনুষ্ঠানে খানিক ছন্দপতন ঘটেছে। সেই আবহেই দলনেত্রীর সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে দেখা করলেন অভিষেক ও ফিরহাদ।
২৬ পেরিয়ে সাতাশ বছরে পা তৃণমূল কংগ্রেসের। নতুন উদ্যমে নতুন লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে, পয়লা জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে এই বার্তাই দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠা দিবসেই যেন লোকসভা ভোটের সুর বেঁধে নিল তৃণমূল শিবির। কিন্তু এর মধ্যেই প্রবীণ-নবীন ইস্যুতে দলের নেতাদের মধ্যে যে মতানৈক্য রয়েছে, তা যেন এদিন প্রকট হয় খানিকটা। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির মন্তব্যে আপত্তি জানান রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুধু তা-ই নয়, নন্দীগ্রামে মমতার পরাজয়ের দায়ও প্রকারান্তরে দলের রাজ্য সভাপতি বক্সির উপর দেন কুণাল। নৈহাটিতে অর্জুন সিংহ-সোমনাথ শ্যামের দ্বন্দ্ব মেটাতে না পারার দায় অবশ্য নাম করেই কুণাল চাপিয়েছেন বক্সির উপর। প্রতিক্রিয়া-পালটা প্রতিক্রিয়ার মাঝে আচমকা মমতার কালীঘাটের বাড়িতে অভিষেক কেন গেলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু জল্পনা।
2. তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে নবীন-প্রবীণ মতানৈক্য। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুব্রত বক্সী বলেন যে, “অভিষেক আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করলে, আশা করি, ও লড়াই থেকে পিছিয়ে আসবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াই করবে।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক দেখা দেয়। দলীয় নেতৃত্বের একাংশের মনে হয়, দলের অন্দরের নবীন-প্রবীন মতানৈক্যই এতে সামনে চলে এল। যদিও সুব্রত জানিয়েছিলেন যে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়বে অভিষেক। আপনারা ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করলেও ভাঙন ধরানো যাবে না।” পরে সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ জানান, “ওঁর বাক্যগঠনে সমস্যা আছে। অভিষেকের পিছিয়ে আসার কথা আসছে কেন? এটা তো নেগেটিভ কথা। আমরা যাঁরা বরাবর লড়াই করে এসেছি, পিছিয়ে আসিনি, তাঁদের একথায় আপত্তি আছে। আর মমতাই তো নেত্রী। এটা অভিষেকও মানেন। তাই মমতার নেতৃত্বে তিনি লড়াই করবেন, একথা আলাদাভাবে বলার কিছু নেই।” উভয়ের বক্তব্যে দলের অন্দরের মতানৈক্যই কার্যত প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।