মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জের। দিলীপ ঘোষের শাস্তির দাবিতে রাজভবনে কুণাল-ব্রাত্যরা। চাইলেন রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ। কালী বিতর্কে পিছু হটছেন না মহুয়া। শিক্ষাক্ষেত্রেও ‘এগিয়ে বাংলা’। ‘CBSE, ICSE-এর সমান বাংলার শিক্ষার মান’। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা গ্রাফ। একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১৯ হাজার। দেশে মিলেছে ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি, ঘোষণা ‘হু’-এর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 জুলাই 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘কালী’ পোস্টার বিতর্কে অনড় মহুয়া, গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপির
বিস্তারিত খবর:
1. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দিলীপ ঘোষের কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে রাজ্যপালের কাছে নালিশ তৃণমূলের। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির শাস্তির দাবিতে রাজভবনে গেল তৃণমূলের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল। এই দলে ছিলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, তাপস রায়, শশী পাঁজা, সাজদা আহমেদ, মালা রায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রাজ্যপালের কাছে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছেন প্রতিনিধিরা। বুধবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে মমতার ‘বাংলার মেয়ে’ ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতে গিয়ে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে ফেলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দিলীপের সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতারা। ওই মন্তব্যের জেরেই এবার বিষয়টিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানাল তৃণমূল শিবির। নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে দিলীপ ঘোষকে, সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়েছেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এরপরই অবশ্য টুইট করে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে টুইট তাঁর। এর পালটা জবাবও দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
2. বিক্ষোভের মুখে পড়েও মা কালীকে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্য প্রত্যাহার করতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের সঙ্গে তাঁর মন্তব্যের তুলনা টানা নিয়েও আপত্তি রয়েছে নেত্রীর। তাঁর সাফ কথা, “নূপুর যেটা বলেছেন সেটা পয়গম্বরের অপমান। আর আমি যেটা বলেছি সেটা মা কালীর সম্মান।”
‘কালী’ পোস্টার নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক এফআইআর। তাঁর গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব রাজ্য বিজেপি। কিন্তু তাঁকে আক্রমণের পিছনে আসলে রয়েছে বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি, এমনটাই অভিযোগ কৃষ্ণনগরের সাংসদের। তিনি বলছেন, “আমি এমন ভারতে বাস করি না যেখানে বিজেপির একনায়কত্ব, পিতৃতন্ত্র এবং ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্ব আধিপত্য দেখাবে আর আমরা সেটা চুপচাপ মেনে চলব। আমি আমৃত্যু নিজের মন্তব্যে অনড় থাকব। বিশ্বের সব আদালতে আমি লড়াই করতে রাজি।” এদিকে মহুয়ার বক্তব্যকে দল সমর্থন করে না বলেই জানানো হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। তবে এই ইস্যুতে বিজেপির কথা বলারই অধিকার নেই বলে এদিন সরব হয়েছেন দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “মা কালীকে নিয়ে কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করলে তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেই। কিন্তু এর মধ্যে কোনও কিছু বিকৃত করে দেখালে সেগুলোকে সমর্থন করছি না।” বস্তুত দেবী দুর্গা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের একটি পুরনো বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই এবার বিজেপিকে বিঁধল ঘাসফুল শিবির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।