২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য তলব। ২ সপ্তাহ সময় বেঁধে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চাইলেন শেষ প্যানেলে থাকা প্রার্থীদের নামের তালিকাও। নিয়োগ দুর্নীতির মূল পাণ্ডা মানিক ভট্টাচার্যই। বেআইনি নিয়োগের নেপথ্যে ছিল বিপুল অঙ্কের টাকার খেলাও। সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করে দাবি সিবিআই-এর। বাড়ছে তদন্তের সংখ্যা। চাপ সামলাতে রাজ্যে আসছেন আরও ৫ দক্ষ আধিকারিক, জানাল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ফিরতে পারে আম্ফানের স্মৃতি। ‘মোকা’ আশঙ্কা বাড়িয়ে জানাল হাওয়া অফিস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাবনা, হতে পারে নিম্নচাপ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘চব্বিশে পরিবর্তন আসবেই’, লোকসভার আগে বিরোধী জোটে শান মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য তলব কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। পর্ষদের কাছে বিভিন্ন জেলার কাট অফ মার্কসের তালিকাও তলব করেছেন বিচারপতি। পাশাপাশি ২০১৬ সালের শেষ প্যানেলে কাদের নাম ছিল তার তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে প্রাইমারি টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্যানেল তৈরি করে নিয়োগ শুরু হয়। আর সেই নিয়োগেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, মামলাকারীদের থেকেও কম নম্বর পেয়ে অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়েছেন। সেই সংক্রান্ত এক মামলাতেই বুধবার নয়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ইন্টারভিউর মাধ্যমে কারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের নাম-জাতি-ফোন নম্বর-স্কুলের নাম জানাতে হবে। পাশাপাশি, মেধা তালিকায় কাদের নাম ছিল, তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন বিচারপতি। জানতে চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলার কাট অফ মার্কসও। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে এই রিপোর্ট জমা করতে হবে পর্ষদকে।
2. নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট জালিয়াতির মূল পাণ্ডা মানিক ভট্টাচার্যই। সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়ে সিবিআই-এর সাফ দাবি, বেআইনি নিয়োগের পিছনে বিপুল টাকার খেলা হয়েছে। এমনকি জেলায় জেলায় নিয়োগের জন্য আলাদা আলাদা অঙ্কের টাকা নেওয়া হত বলেই অভিযোগ। শীর্ষ আদালতে জমা পড়া সিবিআই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার ১১, মুর্শিদাবাদের ২৬, বীরভূমে ১৩ জনকে দেওয়া নিয়োগপত্রের নম্বর যোগ্যতামানের চেয়ে কম ছিল। আবার কলকাতা, কোচবিহার এবং পুরুলিয়ার ৩৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, যারা টেট পাস করেননি। কোন জেলায় কতজনকে চাকরি পাইয়ে দিতে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তারও একটি তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআইয়ের আরও দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতদের বয়ানের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের বয়ান মেলেনি। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি রত্না চক্রবর্তী জেরায় জানিয়েছেন, চাপের মুখে একাধিক কাগজে সই করতে হয়েছে তাঁকে। তবে সেই চাপ কে বা কারা দিত, তা অবশ্য খোলসা করা হয়নি। তবে সব মিলিয়ে সিবিআই-এর এই রিপোর্ট ঘিরে নিয়োগ দুর্নীতিতে জলঘোলা হল আরও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।