সন্ধে ৭টার পরিবর্তে রাত দশটা পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন। কলকাতায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে ২৫। করোনার কবলে রাজ্যের প্রায় ৬ হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।করোনা আবহে বিধিনিষেধ জারি হলেও পিছোচ্ছে না পুরভোট। করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ করা হোক এবারের গঙ্গাসাগর মেলা। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা চিকিৎসকের। ভারত সরকারের ‘অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সেলেন্স’ পেল ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। লাখিমপুর কাণ্ডে সোমবার চার্জশিট পুলিশের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের নেতৃত্বে কে এল রাহুল।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 জানুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- এখনই নয় লকডাউন, সোম থেকে রাজ্যে বাড়তে পারে বিধিনিষেধ
বিস্তারিত খবর:
1. সোমবার থেকেই রাজ্যজুড়ে নতুন করে জারি হয়েছে কড়া কোভিডবিধি। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, সংক্রমণ ঠেকাতে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত সাধারণ যাত্রীদের জন্য চলবে লোকাল ট্রেন। তবে আজ সন্ধেয় হাওড়া, শিয়ালদহ-সহ বিভিন্ন স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় দেখে অবশেষে সিদ্ধান্ত বদলাল নবান্ন। জানানো হল, যাত্রীদের সমস্যা মেটাতে আজ থেকেই ৭টা নয়, রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে লোকাল।
রাজ্যে ফের উর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফ। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বছরের শুরুতেই ২ সপ্তাহের জন্য রাজ্যে কড়া হয়েছে কোভিডবিধি। সোমবার থেকে লোকাল ট্রেন চলাচলে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। জানানো হয়, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে দিনভর ট্রেন চললেও সন্ধে ৭টার পর থেকে আর লোকাল ট্রেন চলবে না সাধারণ যাত্রীদের জন্য। কিন্তু আজ কলকাতা ও তার আশপাশের স্টেশনগুলির চেহারা রীতিমতো ভয়ংকর হয়ে ওঠে। সন্ধে হতেই সাতটার মধ্যে ট্রেন পেতে স্টেশন চত্বরে উপচে পড়ে নিত্যযাত্রীদের ভিড়। দমদম থেকে লিলুয়া, বেলঘড়িয়া থেকে বরানগর- সর্বত্র একই ছবি। এমনকী এদিন ভিড়ের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর আহতও হন এক মহিলা যাত্রী। তাঁর মাথা ফেটে যায় বলে খবর। যার জেরে তুমুল যাত্রীবিক্ষোভের মুখে পড়ে রেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদলানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয় নবান্নে। খানিক পরেই জানানো হয়, ৭টার পরেও চলবে ট্রেন। রাত ১০টা পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা।
2. কলকাতায় বাড়ল মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। ১১টির কথা ঘোষণা হয়েছিল আগেই। সোমবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন, কলকাতায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫। এর মধ্যে বেশ কিছু কনটেনমেন্ট জোন-ও রয়েছে। সোমবার রাত থেকেই এই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনগুলি কার্যকর করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট, আবাসন, বাড়ি কিংবা হস্টেলের ৪-৫ জন করোনা আক্রান্ত হলেই সেটিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন বা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে মানিকতলা, ফুলবাগান, কাকুড়গাছি, প্রগতি, ট্যাংরা, আরবানা-সহ একাধিক এলাকায়। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক জানিয়েছেন, নিউটাউন, দমদম, বিধাননগরেও চিহ্নিত করা হচ্ছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দক্ষিণ কলকাতার বরো ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। আলিপুর, নিউ আলিপুর, হাজরা, ভবানীপুর, কালীঘাট, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, যাদবপুর ও টালিগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন পল্লিতে সংক্রমিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি কলকাতার তিনটি সেফ হোমও চালু করা হয়েছে।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬,০৭৮ জন। যার মধ্যে শীর্ষে কলকাতা। তিলোত্তমায় একদিনে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ২,৮০১ জন। হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সে জেলায় সংক্রমিত ১,০৫৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হুগলি ও হাওড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৬৬৫ ও ৩৪০ জন। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ২২৮।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।