৩ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হতে পারে নয়া বিধিনিষেধ। আদালতে ভারচুয়াল শুনানি।বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১২ পুণ্যার্থীর। অভিযোগ চূড়ান্ত অব্যবস্থার।২৫-এ পা তৃণমূল কংগ্রেসের। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কর্মীদের লড়াইয়ের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার উপসর্গ চিহ্নিত করল রাজ্য।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই লকডাউনের পথে না হাঁটলেও বাংলায় ফের কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে পারে রাজ্য সরকার। সংক্রমণ রুখতে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকেই কিছুদিনের জন্য নয়া বিধিনিষেধের কথা জানানো হতে পারে। জানা যাচ্ছে, লোকাল ট্রেন আপাতত বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা না থাকলেও কীভাবে লোকালে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই চেষ্টাই করবে প্রশাসন। এক্ষেত্রে গত বছরের মতো সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হতে পারে। সেই সঙ্গে কাজের দিন কমানো সম্ভব কি না, সে পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। বিমানযাত্রাও ক্ষেত্রেও জারি হতে পারে কড়া বিধিনিষেধ। যে সমস্ত এলাকায় বেশি ভিড় হয়ে থাকে, যেমন পার্কগুলিতে ৫০ শতাংশের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এছাড়া শহরের প্রতিটি বাজার স্যানিটাইজ করা হবে। মাস্ক না পরলেই পড়তে হতে পারে শাস্তির মুখে। সিনেমা হলের দর্শক সংখ্যা ৭০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ হতে পারে। পাশাপাশি রেস্তরাঁ ও পাবগুলিতেও উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশে কমতে পারে। বাতিল হতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন মেলা।
কলকাতা হাই কোর্টের তরফেও বিজ্ঞপ্তি জারি করে শনিবার জানানো হয়েছে, এ বার থেকে শুরু করা হবে ভারচুয়াল শুনানি। আগামী ৩ তারিখ অর্থাৎ সোমবার থেকেই রাজ্যের সব কটি আদালতে শুরু হয়ে যাবে অনলাইন বা ভারচুয়াল শুনানি। পাশাপাশি স্থগিত হয়েছে দুটি সরকারি কর্মসূচিও। স্কুল, কলেজ পুরোপুরি বন্ধ করা হবে নাকি বিধিনিষেধ বাড়বে, সেই বিষয়টি রিভিউ পর্যায়ে রয়েছে বলেই খবর। কড়া বিধিনিষেধ লাগু করে কীভাবে সংক্রমণ ঠেকানো যায়, সেটাই এখন লক্ষ্য রাজ্য সরকারের।
2. বছরের প্রথম দিনেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১২ জনের। প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, চূড়ান্ত অব্যবস্থার ফলাফল এই দুর্ঘটনা। ই-টিকিট কিংবা কোভিড সার্টিফিকেট – কোনও কিছু পরীক্ষা না করেই মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল। যার জেরে প্রচুর ভিড় এবং হুড়োহুড়ি শুরু হয়। জম্মুর কাটরা থেকে হেঁটে পাহাড়ি পথে প্রায় ১৫ কিলোমিটার গেলে বৈষ্ণোদেবীর দর্শন পাওয়া যায়। অনেকেই ওই পথ ঘোড়ার পিঠে চড়ে যান। পাহাড়ি পথের প্রায় পুরোটাই মসৃণ রাস্তা রয়েছে। তবে মন্দিরের ভিতরের পথ সংকীর্ণ। সেখানে প্রায় সারা বছরই ভিড় থাকে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরের ভেতরে বৈষ্ণোদেবীর মূর্তি যেখানে রয়েছে, শুক্রবার মাঝরাতে সেই সংকীর্ণ পথেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সেখানেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটে। কাশ্মীর পুলিশের আশ্বাস, সব পুণ্যার্থীকে খুঁজে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।