দীপাবলির উদযাপনে অনুষ্ঠান, কিন্তু মেনুতে মদ-মাংস রেখেই বিপত্তি। সনাতনীদের রোষের মুখে খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নিন।
দীপাবলির অনুষ্ঠানে খানাপিনার জব্বর আয়োজন। মদ মাংস, হই-হুল্লোড়ের দেদার উপায়। কী নেই তাতে? দীপাবলির অনুষ্ঠানে মাংসের পদ? আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ব্রিটেনদের হিন্দু বাসিন্দারা। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের বাসভবনে দীপাবলির উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছিলো। আর অনুষ্ঠানের খাবারের তালিকায় ছিল অঢেল মাংস এবং মদ্যপানের বন্দোবস্ত। আর তাতেই বাঁধলো তীব্র গণ্ডগোল। মেনু নিয়ে তোলপাড় তুলেছেন ব্রিটেনের হিন্দুরা।
তাঁদের মতে দীপাবলির পুণ্য তিথিতে এমন খাবার হিন্দু ভাবাবেগে তীব্র আঘাত হেনেছে। দীপাবলির আলোর উৎসবে এমন উৎশৃঙ্খলতা কিছুতেই মানতে রাজি নন তাঁরা। তাই ফেসবুকেই তীব্র নিন্দা এবং বিষোদ্গার করেছেন ব্রিটেন হিন্দু পরিসদের সদস্যরা।
কারণ দীপাবলির অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মের বহু মানুষই নাকি নিরামিষ খাবার খেয়েই পছন্দ করেন। ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের আগে এই সিংহাসনে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। তাঁর সময়েও ওই একই জায়গায় দীপাবলির অনুষ্ঠান আয়োজিত হত মহাসমারোহ করেই। তবে সুনকের সময়ে এমন মদ্য-মাংস সহযোগে উল্লাস হতো না এমনই বলেছেন, ব্রিটেনের হিন্দু পরিষদ। কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোনও আলোচনা করা হয় নি,ক্ষোভ এবং অসন্তোষ উঠছে তা নিয়েই।
ব্রিটেনে বসবাসকারী হিন্দু পণ্ডিত সতীশ কে শর্মা এর সমস্ত দায়ভার চাপিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে। ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের আধিকারিকদের মধ্যে তীব্র সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে- এই বলে তিনি নিন্দা করেছেন। সমাজমাধ্যমে প্রাপ্ত একটি ভিডিয়ো বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা গেছে , গত প্রায় ১৪ বছরে দীপাবলির অনুষ্ঠান মদ-মাংস ছাড়াই পালিত হয়েছে। তাই এবারের এমন অনুষ্ঠান দেখে তিনি অত্যন্ত হতাশ এবং স্তম্ভিত। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উপদেষ্টাদের এতটা অসতর্কতা এবং অবহেলাপূর্ণ মনোভাব তাঁর কাছে খুবই দুঃখজনক ঠেকেছে।