রামনবমী, জন্মাষ্টমীর পরে এবার গণেশ চতুর্থী। বেঙ্গালুরু জুড়ে মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালাইক। এই মর্মে সোমবার জারি করা হয়েছে একটি নির্দেশিকাও। আসুন, শুনে নিই সেই কথা।
গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে উৎসবে মেতে উঠেছে গোটা দেশ। মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো বহু শহরেই বিশাল করে পালন করা হয় এই উৎসবটি। আর সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষেই এবার বেশ কিছু বিধিনিষেধ ঘোষণা করল বেঙ্গালুরুর প্রশাসন। গণেশ পুজো উপলক্ষে বেঙ্গালুরু জুড়ে মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালাইক। ৩১ অগস্ট, বুধবার পর্যন্ত কোনও রকম প্রাণী হত্যাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে BBMP-র তরফে।
আরও শুনুন: সাভারকর ও জিন্না ‘নাস্তিক’, বিতর্ক উসকে মন্তব্য কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতার
দিন কয়েক ধরেই নানাবিধ অশান্তিতে তপ্ত কর্ণাটক। হিজাব বিতর্ক থেকে লাউডস্পিকার বিতর্ক। একের পর এক ঘটনায় বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে দক্ষিণের এই রাজ্যটি। সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসের ব্যানার ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কর্ণাটকের শিবমোগ্গা। একই সঙ্গে বীর সাভারকর আর টিপু সুলতানের ছবি ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তি তোলে একটি পক্ষ। শুরু হয় অশান্তি। এমনকি এলাকায় জারি করতে হ ১৪৪ ধারাও। সে নিয়ে একের পর বাদানুবাদে জড়িয়েছে শাসক ও বিরোধী দু-দলের নেতারাই। টিপু সুলতানকে ‘মুসলিম গুন্ডা’ বলে ক্ষোভের মুখে পড়েন এক বিজেপি বিধায়ক। তার পরেই সাভারকার ও জিন্নাকে ‘নাস্তিক’ বলে বিতর্কে ইন্ধন জোগান রাজ্যের এক কংগ্রেস নেতা। সম্প্রতি সাভারকার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ‘সাভারকর রথ যাত্রা’ করার উদ্যোগ নিয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা বি এস ইয়াদুরাপ্পা। সেই উদ্যোগের কড়া নিন্দা করেছিল কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। গণেশ চতুর্থী হিসেবে মাংস বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্তকেও ভাল চোখে দেখেননি প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। এসব করে অকারণে বিতর্ক বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান ডিকে শিবকুমার।
আরও শুনুন: টিপু সুলতান ‘মুসলিম গুন্ডা’, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে জোর বিতর্ক কর্ণাটকে
এর আগে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল BBMP। রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে বন্ধ রাখা হয়েছিল এলাকার সমস্ত মাংসের দোকান। ওই গোটা সময়টায় মাংস কেনা বা খাওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পশুকল্যাণ দপ্তর ও বিবিএমপি-র উদ্যোগে যে কোনও রকম প্রাণীহত্যাতেই জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। যার জন্য সে সময়টায় বেশ লোকসানের মুখোমুখি হতে হয়েছিল মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি হল রাজ্যে। যা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। এ ভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা যে বেশ লোকসানের মুখে পড়বে, তা এককথায় মেনেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীমহল।