আপ্যায়ন নয়। এই হোটেলে গেলেই জুটবে অপমান। কিছু চাইলেই শুনতে হবে গালমন্দ। এমনকি যে কোনও সময় প্লেট থেকে খাবার তুলে খেয়ে নেবে হোটেলের কর্মীরা। কোথায় রয়েছে এমন হোটেল? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছেন। পছন্দের খাবার অর্ডারও করেছেন। বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষার পর খাবার নিয়ে এলেন রেস্তোরাঁর এক কর্মী। কিন্তু একি! খাবারের প্লেটগুলো টেবিলে প্রায় ছুড়ে ছুড়ে রাখলেন তিনি। সেইসঙ্গে বিনা কারণে শুরু করলেন গালমন্দ। এখানেই শেষ নয়। প্লেট থেকে জিজ্ঞাসা না করেই তুলে নিলেন খানিকটা খাবার।
আরও শুনুন: কত চালে কত ভোট! দোসর কন্ডোমও, রাজনীতিতে যারা নতুন ‘মুখ’
অবাক হচ্ছেন তো? রেস্তোরাঁয় গিয়ে এমন অভিজ্ঞতাও যে হতে পারে তা নিশ্চয়ই কল্পনার বাইরে। কিন্তু লন্ডনের এক হোটেলে ঠিক এমন অভিজ্ঞতাই হতে পারে। এক কথায় বললে, এই হোটেলে গেলে টাকা খরচ করে অপমানিত হতে হবে। খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে যাবতীয় পরিষেবা দেওয়ার সঙ্গে বিনামূল্যে অপমান করে যান এই হোটেলের কর্মীরা। কিন্তু এর পালটা তাদের কিছু বলা যাবে না। এমনটাই নিয়ম এই হোটেলের। আর সেই কারণে এই হোটেলকে বিশ্বের সবথেকে খারাপ হোটেলের তকমা দেওয়া হয়। অন্তত হোটেল কর্তৃপক্ষর প্রচার এমনটাই। তাদের দাবি, এই হোটেলের মতো খারাপ পরিষেবা বিশ্বের আর কোনও হোটেলে মিলবে না। তার জন্য হোটেলের ভাড়া অবশ্য কম নেওয়া হয় না। বিলেতের অন্যান্য সাধারণ হোটেলের মতোই এই হোটেলে রাত কাটাতে মোটা টাকা খরচ করতে হয়। তার বদলে সাধারণ সুবিধা টুকুও হোটেলের তরফে দেওয়া হয় না। টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে স্নানের টাওয়াল এই হোটেলে ঘর ভাড়া নিলে মিলবে না এসবের কিছুই। স্রেফ জুটবে অপমান। আগে অবশ্য এটি হোটেল ছিল না। স্রেফ রেস্তোরাঁ ছিল দীর্ঘদিন। নাম ছিল কারেন’স ডিনার। হালে যোগ হয়েছে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা।
আরও শুনুন: ‘মালালার মতো দেশ ছাড়িনি’, ব্রিটেনের সংসদ থেকে ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, কে এই ইয়ানা মির?
অপমানের বহর মূলত ওই রেস্তোরাঁ গেলেই দেখা যাবে। সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতেও ধরা পড়েছে সেই পরিস্থিতি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রেস্তোরাঁর এক কর্মী খাবার নিয়ে এসে প্রায় ছুড়ে ছুড়ে তা টেবিলে রাখলেন। তারপর সেই প্লেট থাকা খাবার তুলে নিজেই খেয়ে নিলেন। অথচ তাঁকে আটকাল না কেউ। আসলে, এই রেস্তোরাঁয় এমনটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। অন্যান্য রেস্তোরাঁ বা হোটেলে যেমন কর্মীদের আলাদা করে সহবত শেখানো হয়। তাঁদের স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়, গ্রাহকদের সঙ্গে ভালো ভাবে ব্যবহার করতে। এখানে হয় ঠিক তার উলটোটা। অর্থাৎ এখানকার কর্মীরা অপমান করার জন্য টাকা পান। যদিও কেন এই নিয়ম সে নিয়ে বেশ ধন্দ্ব রয়েছে। অনেকে মনে করেন এও এক প্রচারের ধরণ। নতুন অভিজ্ঞতা হবে এই ভেবেই এখানে টাকা খরচ করে অপমানিত হতে আসেন অনেকে। যদিও নেটদুনিয়ার একাংশ এই ব্যাপারটাকে তেমন ভালো চোখে দেখেনি। ভাইরাল ভিডিওর বেশ নিন্দাই করেছেন অনেকে। তবে সেসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই হোটেল কর্তৃপক্ষর। তারা জেনেবুঝেই এই অপমান করে খাবার দেওয়ার ধরণ বেছে নিয়েছেন।
Would you eat here? pic.twitter.com/gZa1lEg5T4
— non aesthetic things (@PicturesFoIder) January 30, 2024