চিত্র প্রদর্শনী দেখতে মিউজিয়ামে গিয়ে আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন এক ব্যক্তি। প্রাথমিক ভাবে হার্ট অ্যাটাক মনে হলেও তার পিছনে রয়েছে বিরল একটি রোগ। যা শুনে অবাক দুনিয়া। কী বললেন চিকিৎসকেরা? শুনে নিন।
হাজার হাজার দর্শকদের মতো বিখ্যাত শিল্পীদের ছবি দেখতে তিনিও হাজির হয়েছিলেন ফ্লোরেন্সের উফিজি গ্যালারিতে। প্রবল উৎসাহ নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে ছবি দেখতে শুরুও করেছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎই তাঁর শরীরে অদ্ভুত অস্বস্তি হতে শুরু করে। তবে বিশেষ পাত্তা দেননি তিনি। বরং ছবি দেখাতেই মন দেন। বিখ্যাত ছবি ‘দ্য বার্থ অফ ভিনাস’ এর সামনে দাঁড়াতেই হঠাৎই বুকে হাত চেপে বসে পড়েন ওই ব্যক্তি। মুহূর্তের মধ্যেই অচৈতন্য হয়ে যান । সঙ্গে সঙ্গেই পাঠানো হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে চিকিৎসকেরা জানান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: কোলের শিশুকে সরিয়ে রেখে ডুবন্ত ব্যক্তিকে বাঁচালেন মহিলা, কুর্নিশ নেটদুনিয়ার
শরীরে কোনও গড়বরের লক্ষণ নেই। অথচ হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক। কারণ খুঁজতে গিয়ে কার্যত হতবাক হতে হল চিকিৎসকদের। তাঁরা জানতে পারলেন, ওই ব্যক্তির হৃদরোগের পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ রোগ। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর অসুস্থতার কারণ নাকি ওই গ্যালারিতে থাকা ছবিগুলিই। আসলে এটি একটি বিশেষ ধরনের অসুখ। মনমুগ্ধকর দৃশ্য কিংবা সুন্দর কোনও ছবিই নাকি প্রধান ভিলেন এই অসুস্থতার নেপথ্যে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই বিশেষ রোগটির নাম স্টেনডাল সিনড্রোম।
আরও শুনুন: মুসলিম ডেলিভারি বয়ের হাত থেকে খাবার নিতে নারাজ ব্যক্তি, বিদ্বেষের প্রতিবাদে সরব মহুয়া
১৯৮৯ সালে এক ইতালীয় মনোবিদ সর্বপ্রথম এই রোগের খোঁজ পান। তাঁর মতে, ভীষণ সুন্দর কোনও শিল্পকলা দেখলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এই রোগে আক্রান্তরা। কারণ সেই শিল্পের মুগ্ধতা তাঁদের উপর এক বিশেষ মানসিক প্রভাব সৃষ্টি করে। যা সহ্য করার ক্ষমতা অনেকেরই থাকে না। পরবর্তীকালে বহু চিকিৎসকই এই রোগটিকে নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখান থেকেই উঠে এসেছে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। আশ্চর্যের কথা, যারা প্রথম বার ফ্লোরেন্সের এই গ্যালারিতে এসেছেন, তাঁরাই নাকি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। সৌন্দর্যের এমন ধাক্কা প্রথমবার সহ্য করতে পারেননি অনেকেই। ফ্লোরেন্সের প্রাচীন স্থাপত্য দেখতে গিয়েও অনেকে এই রোগের কবলে পড়েছেন।