এও এক রামমন্দির। তবে আকারে বহরে অযোধ্যার মন্দিরের থেকে বড়। কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হতে চলেছে মন্দির। যেখানে স্রেফ রামলালা নয়, পুজো করা হবে রামায়ণও। কোথায় তৈরি হচ্ছে এমন মন্দির? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে দেশজুড়ে হইচই পড়েছিল। বিরোধীদের দাবি ছিল মন্দির তৈরিকে সামনে রেখেই ভোটবাক্স ভরাবে বিজেপি। বাস্তবে অবশ্য তেমনটা হয়নি। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করেও অযোধ্যায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। কিন্তু ভোটের ফল যাইহোক, রাম নিয়ে উন্মাদনা এতটুকু কমছে না। কারণ রামমন্দিরের পর উদ্বোধন হতে চলেছে রামায়ণ মন্দির।
:আরও শুনুন:
পথ দেখাচ্ছে রামমন্দির, বিদেশে কাজের বরাত পাচ্ছেন মন্দির তৈরির শিল্পীরা
কোটি কোটি টাকা খরচে তৈরি হয়েছিল অযোধ্যায় রামমন্দির। জানা গিয়েছিল মন্দির তৈরিতে ব্যবহার হয়নি একটুকরোও লোহা। শুধু তাই নয়, কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল হাজার বছরেও এই মন্দির এতটুকু ক্ষতি হবে না। ভূমিকম্প, ঝড়-জল যাই আসুক, রামমন্দির থাকবে একইরকম। মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকা রামলালার মূর্তি নিয়েও বেশ আলোচনা হয়েছিল। মন্দির প্রতিষ্ঠার পর প্রায়শই সামনে এসেছে রামলালার উদ্দেশে পাঠানো ভক্তদের রাজকীয় উপহারের কথা। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল সেই ভক্তিতে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে। অযোধ্যাবাসীর উপর রাগ করে অনেকে রামমন্দির যাওয়ার পরিকল্পনাই বাতিল করে দেন। এই আবহেই সামনে এল নতুন এক রামমন্দির তৈরির খবর। জানা গিয়েছে, বিহারের চম্পারন জেলায় তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে বড় হিন্দু মন্দির। স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই এই বিরাট রামায়ণ মন্দির নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। অনেকেই মনে করছেন অযোধ্যার রামমন্দিরের মতো এখানেও দর্শনার্থীরা ভিড় জমাবেন প্রথম থেকেই। কাজেই পর্যটনক্ষেত্র হিসেবেও এই জায়গার আলাদা গুরুত্ব তৈরি হবে। অবশ্য মন্দিরটি তৈরি শুরু হয়েছে ২০২৩ সালে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কাজ প্রায় শেষের দিকে। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ এর শুরুর দিকেই সম্পূর্ন মন্দির তৈরি হয়ে যাবে।
:আরও শুনুন:
ভাঙাচোরা লোহা দিয়েই তৈরি হল ‘রামমন্দির’! হাত লাগালেন মুসলিম কারিগরেরাও
মন্দিরটির বিশেষত্ব বলতে এর ব্যপ্তি। এতদিন কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দিরটিকে বিশ্বের সবথেকে বড় হিন্দু মন্দির হিসেবে মনে করা হত। তবে বিহারের রামায়ণ মন্দিরের উচ্চতা নাকি এর থেকেও বড় হবে। প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি এই মন্দিরের উচ্চতা হবে ২৭০ ফিট। এবং মন্দিরটি প্রায় ৩.৬৭ লাখ বর্গফিট জায়গার উপর তৈরি হবে। মন্দির চত্বরে থাকবে ২২টিরও বেশি মন্দির। সেখানে বিষ্ণু সহ আরও অনেক দেবদেবীর নিয়মিত আরাধনা চলবে। এছাড়া রামায়ণের নামে তৈরি এই মন্দিরে বিশেষ গুরুত্ব পাবে রানের বীরগাথা। মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ২৫০ টন গ্রানাইট। জানা গিয়েছে, একসঙ্গে প্রায় ২০ হাজার ভক্ত এই মন্দিরে বসে নামগান করতে পারবেন। তাঁদের থাকার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে মন্দিরে। সবমিলিয়ে বলা যায় এই মন্দিরটি অযোধ্যার রামমন্দিরকেও সহজেই টেক্কা দিতে পারবে।