খাওয়া-দাওয়া, থাকার জায়গায় এইসবই বিনামূল্যে মিলবে কুম্ভমেলায়। একাধিক শিবিরের তরফে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে কুম্ভমেলায় বিনামূল্যে মিলছে স্যানিটারি প্যাড। সে দায়িত্ব কোনও শিবির নয়, নিয়েছেন এক তরুণী। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
কুম্ভমেলায় ভাইরাল কনটেন্টের কমতি নেই। তার বেশিরভাগই সমালোচনার কারণ হয়ে উঠছে। ব্যতিক্রম এই মহিলার ভিডিও। ইনিও ভাইরাল। তবে রূপের গুণে নয়, কাজের দৌলতে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মেলায় আগত মহিলাদের স্যানিটারি প্যাড বিলি করছেন এক তরুণী। তাও আবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
স্যানিটারি প্যাডের উপর বাড়তি কর চাপানো নিয়ে একসময় শোরগোল পড়েছিল দেশে। যে জিনিসটি কোনোভাবেই শৌখিন দ্রব্যের আওতায় পড়ে না, বরং তা একান্তভাবেই প্রয়োজনীয়, তার উপরে বাড়তি কর চাপানোর প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন অনেকেই। এবার সেই স্যানিটারি প্যাডই বিলি হতে দেখা গেল কুম্ভমেলায়। প্রতিদিন যে মেলায় কোটি কোটি ভক্ত ভিড় জমাচ্ছেন, সেখানে এই জিনিসের প্রয়োজন যে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ, তা বলাই যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল কুম্ভে আগত মানুষজনের মানসিকতা নিয়ে। ধর্মীয় মেলা, সেখানে ঋতুচক্রের মতো বিষয়কে ঠিক কীভাবে দেখা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে নানা প্রশ্নও ঘুরতে দেখা গিয়েছে। কৌতূহলের বশে কেউ কেউ জীজ্ঞাসা করেছেন, ‘ঋতুকালে সঙ্গমে স্নান করা যায়?’। উত্তরে নানা মুনির নানা মত ভেসে এসেছে। এই আবহে কুম্ভের প্রাঙ্গনে স্যানিটারি প্যাড বিলি করতে দেখা গেল এই তরুণীকে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, তরুণী নিজ উদ্যোগে এমনটা করছেন না। মনে করা হচ্ছে, কোনও সংস্থার জন্য এই কাজ তিনি করছেন। কোন সংস্থা সেই খোঁজ মেলেনি। তবে তার প্রয়োজনই বা কোথায়!
কুম্ভে আগত দর্শনার্থীদের জন্য বিনামূল্যে নানা পরিষেবা চালু করেছে বিভিন্ন সংস্থা। কেউ দিচ্ছেন জল, কেউ থাকার ব্যবস্থা করেছেন, কেউ আবার পেট ভরা খাবার দিচ্ছেন। সেখানে কোনও সংস্থা যদি স্যানিটারি প্যাড বিলি করে, তার চেয়ে ভালো বোধহয় কিছু হয় না। একথা অস্বীকারের উপায় নেই, এখনও এ দেশের এমন অনেক মহিলা রয়েছেন যারা এই স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করেন না। হয় প্রয়োজন মনে করেন না, নাহলে সামর্থ হয় না কেনার। তাতে ঋতুকালীন স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে মারাত্মক। নানা রোগের বাসা বাঁধে শরীরে। সরকারের তরফে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড দেওয়া হয় ঠিকই, তাও অনেকে সেই সুবিধা নিতে পারেন না। সেখানে কুম্ভমেলায় এই সুযোগ মিলছে দেখে অনেকেই প্রশংসা করছেন। নেটুদনিয়ায় বিশেষ এই উদ্যোগের তারিফ করেছেন প্রায় সকলেই।