ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে। অফিসের যাবতীয় কাজ সারা হচ্ছে অনলাইনেই। মিটিংয়ের ক্ষেত্রেও সেই একই ব্যবস্থা। কনফারেন্স কলে সমস্ত কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেছেন বস। সেখানেই নিশ্চিন্তে চিপস খেতে খেতে আলোচনা শুনছিলেন এক মহিলা কর্মী। খেয়ালই করেননি তাঁর মাইকটা খোলা। ব্যাস চিপস খাওয়ার আওয়াজে রীতিমতো বিরুক্ত হয়ে ওঠেন সকলেই। তড়িঘড়ি মহিলাকে মেসেজ করে মাইক বন্ধ করতে বলেন বস। আর সেই মেসেজের ছবি দেখেই হাসির রোল তুলেছে নেটদুনিয়া। মহিলাকে ঠিক কী বলেছেন তাঁর বস? আসুন শুনে নিই।
সবসময় কিছু না কিছু চিবোতে হবে। এমনটাই ছিল টেনিদার স্বভাব। কিছু না পেয়ে একবার অচেনা একজনের দাড়িতেই কামড় বসিয়েছিলেন তিনি। গল্পে সেকথা পড়ে রীতিমতো হাসি পায় সকলের। বাস্তবে ঠিক টেনিদার মতো না হলেও, সবসময় মুখ চালানোর অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। আর সেই অভ্যাসের জেরেই চরম ফ্যাসাদে পড়েছেন এক মহিলা।
আরও শুনুন: এক সন্তান গর্ভে, ২৮ দিনের মাথায় ফের গর্ভবতী ৩০ বছরের মহিলা
কাজের সময় মুখ চালানো অভ্যাস। অফিসে থাকাকালীন এমনটাই করে থাকেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর অফিসে শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। বাড়ি থেকেই যাবতীয় কাজ সারতে হচ্ছে। যার জেরে আরও সুবিধা হয়েছে তাঁর। অফিসে থাকাকালীন সবসময়ই যে কিছু খাওয়ার সুযোগ পেতেন, তা নয়। বিশেষত কোনও মিটিং থাকলে বা বসের কাছে গেলে এমনটা করার কোনও সুযোগ থাকত না। বাড়িতে সেসবের বালাই নেই। নিশ্চিন্তে যখন যা ইচ্ছা হচ্ছে মুখে পুড়ছেন। সেইসঙ্গে অবশ্য কাজও সারছেন। এভাবেই বেশ কিছুদিন কেটেছে। কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গায়। একদিন অফিসের মিটিংয়ে অন্যান্য সকলের সঙ্গে তিনিও যোগ দিয়েছেন। কনফারেন্স কোলে সকলের সঙ্গে আলোচনা সারছেন বস। সেইসময় অভ্যাস মতো একটা চিপসের প্যাকেট খুলে খেতে আরম্ভ করেন এই মহিলা। খেয়ালই ছিল না, মাইক অন রয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও সেদিকে নজর পড়েনি তাঁর। এদিকে তাঁর চিপস খাওয়ার আওয়াজে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে ওঠেন অন্যান্যরা। ব্যাপারটা খেয়াল করেন মহিলার বসও। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মেসেজ করে ওই মহিলাকে মাইক অফ করতে বলেন। সেইসঙ্গে তিনি লিখেও দেন, চিপস খাওয়ার আওয়াজে তিনি বেশ বিরক্ত হয়েছেন। এমন মেসেজ দেখামাত্র মাইক অফ করে দেন মহিলা। কিন্তু নিজের আচরণে বেশ লজ্জায় পড়ে যান তিনি। সেইসঙ্গে বস তাঁর উপর ঠিক কতটা চটেছেন, তা নিয়েও চিন্তায় পড়েন। তাই বসের পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশট নেট্মাধ্যমে পোস্ট করে জানতে চান, এর ফলে তাঁর কি কোনও বিপদ হতে পারে?
আরও শুনুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ চললে মোদি তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা কেন? কেন্দ্রকে প্রশ্ন তৃণমূল নেতার
যদিও নেটদুনিয়ায় সকলেই তাঁর এই কাণ্ড দেখে রীতিমতো হাসির রোল তুলেছেন। কেউ কেউ আবার বসের পাঠানো মেসেজ নিয়ে কটাক্ষও করেছেন। তাঁদের দাবি মহিলা এমন কিছু অপরাধ করেননি, যার জন্য ওমন ভাবে ভৎসর্না করতে হবে। আরও সহজভাবে মহিলাকে মাইক অফ করার তিনি বলতে পারতেন, এমনটাও দাবি করেছেন কেউ কেউ। যদিও বেশিরভাগই নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। তাঁদের সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা বহুবার ঘটেছে বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। এদিকে তিনি যে সংস্থার চিপস খেয়েছেন তার ছবিও পোস্ট করেছিলেন। সংস্থার তরফেও বেশ মজা করেই উত্তর দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই তরুণীর কাণ্ডে বেশ সরগরম নেটদুনিয়া।