মেনোপজ আবার কী, ওসব কাজ না করার ছুতো! মহিলা কর্মীকে এমনটাই বলে বসেছিলেন বস। আর এই কাণ্ডের জেরেই সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হন ওই কর্মী। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল আদালতও। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কাজ না করার জন্য মেনোপজের অজুহাত দিচ্ছেন! এক মহিলা কর্মীকে এমনটা বলেই বিপাকে পড়লেন বস। সে এমনই বিপাক যে রীতিমতো বড় অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হল তাঁকে।
আসলে কাজের জায়গায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বকাবকি শুনতে সকলেই কমবেশি অভ্যস্ত। কিন্তু কোন কথায় কার যে কীভাবে আঘাত লাগবে তা বুঝে ওঠা মুশকিল। বিশেষত লিঙ্গবাচক কথাবার্তার ক্ষেত্রটি অতি মাত্রায় সংবেদনশীল। পান থেকে চুন খসলেই সেই কথার সূত্র ধরে কিন্তু বিপদে পড়তে পারেন যে কেউ। যেমন পড়েছেন এই ভদ্রলোক। একশো দুশো নয়, কড়কড়ে ৩৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ গুনে দিতে হয়েছে তাঁকে, তাও নিজের অধস্তন এক কর্মীকে। একইসঙ্গে পকেট আর প্রেস্টিজ, টান পড়েছে দু জায়গাতেই। ব্যাপারটা ঠিক কী ঘটেছে, তবে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: আড়াই লাখের সোনার চেন খেয়ে ফেলেছে ষাঁড়! কী হল তারপর?
জানা গিয়েছে, ওই স্কটিশ মহিলা কর্মীর নাম কারেন ফার্কুয়ার্সন। ১৯৯৫ সাল থেকে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় কাজ করে আসছিলেন তিনি। বছরে তাঁর আয় ছিল প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা, যতদিন না চাকরি যায়। কিন্তু চাকরি গেল কেন? সেখানেই আসছে মেনোপজের কথা। ঋতুবন্ধের দরুন যে শারীরিক সমস্যাগুলো হচ্ছিল ওই মহিলার, তাকে পাত্তা দিতেই রাজি ছিলেন না তাঁর বস, অর্থাৎ ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। উলটে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ব্যথা বেদনা সকলেরই থাকে, সমস্যার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। চিকিৎসাশাস্ত্র যতই এই সমস্যাকে গুরুত্ব দিক না কেন, ওই ব্যক্তির কাছে এসব স্রেফ কাজ না করার ছুতো বলেই মনে হয়েছিল। এমনকি এই যুক্তিতেই ওই মহিলা কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়।
আরও শুনুন: দেখে বোঝার উপায় নেই! তরুণী, ফুটবলার না সুপারমডেল জানেন?
কিন্তু যে সংস্থায় এতদিন কাজ করছেন, তার এহেন আচরণকে মোটেও মুখ বুজে মেনে নেননি ওই মহিলা। তাই সোজা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আর শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়েই জয় হয়েছে তাঁরই। অসংবেদনশীল মন্তব্যের দায়ে বসের থেকে জরিমানা আদায় করে তবেই ছেড়েছেন তিনি।