২১ বছরের বিবাহিত জীবন। এতদিনেও স্ত্রী-র যৌন চাহীদা মেটাতে পারেন না স্বামী। বাধ্য হয়েই পরকীয়ার পথে হাঁটতে হয় স্ত্রী-কে। বিগত ১০ বছর ধরে এমনটা করেও আসছেন তিনি। আর এই অবৈধ প্রেমের জোরেই নাকি এখনও টিকে আছে তাঁর দাম্পত্যজীবন। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন ওই মহিলা। ‘পরকীয়া’ সম্পর্কে আর কী সওয়াল করেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
যৌনসুখ দিতে অক্ষম স্বামী। তাই বাধ্য হয়েই অন্য পুরুষের কাছে ছুটতে হয় স্ত্রী-কে। ২১ বছরের বিবাহ জীবনে প্রায় অর্ধেকটাই এমন ভাবে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাই নিজের দাম্পত্যজীবন টিকিয়ে রাখার সমস্ত ক্রেডিট তিনি দিতে চেয়েছেন তাঁর অবৈধ প্রেমিককে। তাঁর কাছে তৃপ্ত হওয়ার সুযোগ পান বলেই, স্বামীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতে পেরেছেন এতদিন।
আরও শুনুন: নেই ঝগড়া-ঝামেলা, এক ঠিকানাতেই থাকেন শহরের ৬ হাজার বাসিন্দা
সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে এক চল্লিশোর্ধ মার্কিন মহিলা। প্রায় ২১ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল জনৈক মার্কিন যুবকের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি বুঝে যান, এই যুবকের পক্ষে তাঁকে যৌনসুখ দেওয়া অসম্ভব। এদিকে বার বার স্বামীকে যৌনতার কথা বললেও তিনি বিরক্ত হন। কারণ ওই যুবক নাকি মনে করতেন, সম্পর্কের একমাত্র আধার যৌনতা নয়। শুধুমাত্র সঙ্গম করার জন্য তাঁরা বিয়ে করেননি। স্বামীর এই যুক্তি যে একেবারেই ফেলনা নয়, সে কথা বিশ্বাস করতেন ওই মহিলা নিজেও। কিন্তু কতদিনই বা এভাবে কাটানো সম্ভব। সদ্য যুবতী ওই মহিলার শরীর তখন যৌন উত্তেজনায় ভরপুর। এমনিতেই ওই দেশে মহিলাদের বাইরে কাজ করা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এই মহিলাও নামি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। কিন্তু সেই কাজের বাহানায় তিনি ঠিক করেন নিজের যৌন চাহিদা নিজেই মিটিয়ে নেবেন। শুরু হয় প্রেমিকের খোঁজ। সেইসময় যৌনসুখ খুঁজতে তিনি এতটাই মরিয়া ছিলেন, যে কাউকে পছন্দ হলে সঙ্গমের জন্য দ্বিতীয়বার ভাবতেন না। একাধিক পুরুষের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতেন তিনি। আর এভাবেই মিটিয়ে নিতেই নিজের যৌন চাহিদা। এসবের কিছুই ঘুণাক্ষরে টের পেতেন না মহিলার স্বামী।
আরও শুনুন: সঙ্গম-দৃশ্যে হাজির ৯০০ বার, পড়েছেন মৃত্যুর মুখেও! অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুললেন পর্ন-তারকা
বেশ কয়েকবছর এভাবে কাটানোর পর মহিলা বুঝতে পারেন এবার কিছুটা থিতু হওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে কেবল একজন পুরুষের সঙ্গেই অবৈধ সম্পর্ক রাখবেন বলে ঠিক করেন তিনি। খুঁজেও পান পছন্দের সঙ্গীকে। তিনিও অবশ্য বিবাহিতই ছিলেন। দুজনে মিলে ঠিক করেন, তাঁদের সম্পর্কে কোনও প্রেম থাকবে না। স্রেফ দুজনের যৌন চাহিদাটুকু মিটিয়ে নেওয়াই হবে সম্পর্কের মূল আধার। বিগত দশ বছর ধরে সেই পুরুষ সঙ্গীর কাছেই নিজের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করে নেন তিনি। এর কোনও নেতিবাচক প্রভাব তাঁর দাম্পত্য জীবনে অবশ্য পড়ে না। বরং যৌনসুখ পাওয়ার পর যেটুকু বাকি থাকে, অর্থাৎ প্রেম ভালোবাসা নিরাপত্তা, এই সবই স্বামীর থেকে পুষিয়ে নেন ওই মহিলা। তিনি মনে করেন, কোনও নারীর সব রকম চাহিদা একজন পুরুষের পক্ষে মেটানো অসম্ভব। তাই একজন মহিলার একাধিক পুরুষ সঙ্গী থাকা মোটেও অপরাধের নয়। নিজের উদাহরণ দিয়েই তিনি দাবি করেছেন, ওই অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলেই এতদিন দাম্পত্য টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন তিনি। তবে তিনি যে তাঁর স্বামীকে যথেষ্ট ভালোবাসেন সে কথাও জোর গলায় দাবি করেন ওই মহিলা। কোনও অবস্থাতেই তাঁকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন না তিনি। রইল পড়ে যৌন চাহিদার কথা, তার জন্য কোনওদিন সঙ্গীর অভাব হবে না বলেই মনে করেন তিনি।