টাকা দিলে কী না মেলে! ভালোবাসাও? এই উত্তরটাও হ্যাঁ। তরুণীর উদ্যোগ খানিকটা তেমনই। নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে, আদর, ভালোবাসা সবকিছু দিতেই তিনি রাজি। তবে মানতে হবে কিছু শর্ত। ঠিক কেমন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ব্যস্ত জীবনে সঙ্গী বলতে একাকীত্ব। দিন কাটছে একঘেয়ে রুটিনে। কখনও মদ, কখনও অন্য কিছু, মন খারাপ থেকে সাময়িক বিরতি দিচ্ছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন! সঙ্গী ছাড়া দিনের পর দিন কাটাতে কাটাতে ক্লান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এই সমস্যার সমাধান করতেই নতুন ব্যবসা ফেঁদেছেন পোল্যান্ডের তরুণী।
ঠিক কী করেছেন?
এককথায় বললে, একটা দোকান খুলেছেন। ভালোবাসার দোকান। টাকার বিনিময়ে এখানে ভালোবাসা বিলি করেন ওই তরুণী। যৌনতা নয় মোটেও, বরং আদর দিয়েই পুরুষের একাকীত্ব মোছেন তিনি। ঘণ্টার পর ঘন্টা জড়িয়ে ধরা, বুকের কাছে মাথা রেখে চুলে বিলি কেটে দেওয়া, আরও কত কী! ঠিক যেভাবে ভালোবাসার মানুষ কাছে টেনে নেয়, সেভাবেই অচেনা অজানা যুবককে আগলে ধরেন আলেকজান্দ্রা। সকলেই যে মাখো মাখো আদর পছন্দ করেন এমন নয়, কেউ কেউ স্রেফ সঙ্গ পেলেই খুশি। এমন কেউ তাঁর দোকানে এলে, হাতে হাত রেখে পছন্দের সিনেমা সিরিজ দেখে সময় কাটান দুজনে। তবে বেশিরভাগই পছন্দ করে দীর্ঘক্ষণ জড়িয়ে থাকা। এক্ষেত্রে কড়া ভাবে একটা শর্ত বজায় রাখেন আলেকজান্দ্রা, কোনওভাবেই যেন ওই আদর যৌনগন্ধী না হয়ে ওঠে। এমনটা বুঝতে পারলেই সরে আসেন। কেউ ইচ্ছা করে সুযোগ নিতে চাইছে বুঝলেও এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেন না তিনি। যদিও এই অভিজ্ঞতা খুবই কম হয়েছে বলে তাঁর দাবি। টাকার অঙ্কটাও নেহাতই কম নয়। ঘণ্টায় ৩১০০ টাকা দিতে হয় এ আদরের মূল্য হিসেবে। যত বেশি সময় তত বেশি টাকা। শুধু পুরুষ নয়, মহিলারাও তাঁর কাছে একাকীত্ব কাটাতে আসেন। বেশিরভাগেরই বয়স ৪০ থেকে ৬০ এর মধ্যে।
ভালোবাসা বোঝাতে সবসময় ঠোঁটে ঠোঁট রাখার দরকার পড়ে না। স্রেফ একবার জড়িয়ে ধরাই যথেষ্ট। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মানসিক চাপ থেকে মুক্তি কিংবা অবাধ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ, সব কিছুর চাবিকাঠি ওই জড়িয়ে ধরাতেই লুকিয়ে আছে। কিন্তু সবসময় কী আর জড়িয়ে ধরার মানুষ পাওয়া যায়! তাই জড়িয়ে ধরার মানুষ খুঁজতে মোটা টাকা খরচ করতেও দুবার ভাবছেন না অনেকেই।