সন্তানেরা যমজ, কিন্তু দুজনের বাবা আসলে আলাদা আলাদা মানুষ। যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর এমনটাই দাবি করলেন এক তরুণী। কেন এমন বললেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর আশ্চর্য দাবি করেছেন এক তরুণী। তাঁর মতে, একজন পুরুষ নয়, তাঁর দুই সন্তানের জনক আসলে দুজন আলাদা আলাদা ব্যক্তি। দুই পুরুষের ঔরসেই দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। এমন দাবিতেই স্থির উনিশ বছর বয়সের ওই তরুণী। আরও আশ্চর্যের কথা হল, তাঁর এই দাবিকেই সমর্থন করেছে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাও।
আরও শুনুন: স্কুলের শৌচাগারে সন্তানের জন্ম, পেন দিয়ে নাড়ি কাটল ১৬ বছরের কিশোরী
কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
ব্রাজিলের এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সে দেশের এক উনিশ বছরের তরুণী। কিন্তু একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থাকার দরুন ওই তরুণী নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন যে তাঁর সন্তানদের বাবা আসলে কে। আর সেই কারণেই সন্তানদের প্যাটার্নিটি টেস্ট বা পিতৃত্ব পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি। আর সেই পরীক্ষার ফলই চমকে দিয়েছে সকলকে। ওই পরীক্ষায় এক সঙ্গীর জিনগত উপাদানের সঙ্গে দুই সদ্যোজাতের জিনগত উপাদান মিলিয়ে দেখা হয়। পরীক্ষার ফল বলছে, এক শিশুর সঙ্গে মিললেও অন্য শিশুর সঙ্গে মেলেনি ওই যুবকের জিনগত উপাদান। অর্থাৎ ডিএনএ পরীক্ষা স্পষ্ট জানিয়েছে, যমজ হলেও ওই দুই শিশুর বাবা আলাদা।
আরও শুনুন: হিন্দু সেজে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে যুবতীকে, লাভ জিহাদের দায়ে যোগীরাজ্যে আটক ব্যক্তি
কী করে ঘটল এমন কাণ্ড? তরুণী জানিয়েছেন, একই দিনে দুই পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তার পরই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। আর সেইজন্যই সন্তানদের পিতৃপরিচয় খুঁজে পেতেই ডিএনএ পরীক্ষা করান তিনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয়, ‘হেটারোপ্যারেন্টাল সুপারফেকান্ডেশন’। এ ক্ষেত্রে মায়ের দেহের দু’টি ডিম্বাণু দুই আলাদা পুরুষের শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হয়। দু’টি ভ্রূণ আলাদা দুই প্লাসেন্টা বা অমরার ভিতরে বড় হতে থাকে। অর্থাৎ এই বিষয়টি বিরল হলেও একেবারে অসম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।