মা ও মেয়ের জন্মদিন এক। এতে আর অবাক হওয়ার কি আছে! কিন্তু সেই দিনটা যদি ২৯ ফেব্রুয়ারি হয়? তাহলে নিশ্চয়ই অবেক হবেন। সম্প্রতি ঘটেছে ঠিক এমনটাই। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
২৯ ফেব্রুয়ারি। বছরের বাড়তি দিন। চার বছর অন্তর আসা এই দিনে সাধারণ কারও তেমন আগ্রহ থাকে না। কিন্তু যাদের ওই দিনেই জন্ম, তাঁদের কাছে ২৯ ফেব্রুয়ারি ভীষণ স্পেশাল। এমন অনেককেই নিজেদের জন্মদিন পালনের জন্য চার বছর অপেক্ষা করতে হয়। তবে আমেরিকার এই মহিলাকে স্রেফ নিজের জন্মদিন নয়, চারবছর অপেক্ষা করতে হবে সন্তানের জন্মদিন পালনের জন্যও।
আরও শুনুন: মুকুলের মতোই জাতিস্মর! নিজেই নিজের খুনিকে চিনিয়েছিল যোগীরাজ্যের খুদে
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। ক্যালেন্ডারের হিসেবে চলতি বছরটা লিপ ইয়ার। সদ্যই পেরিয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারি। আর ওইদিনের নিজের তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আমেরিকার কাই সান। যার নিজেরও জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারিই। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে নেটদুনিয়ায়। ব্যাপারটা স্বাভাবিক হলেও, বেশ অবাক করা তাতে সন্দেহ নেই। কাই সান, পেশায় একজন চিকিৎসক। ১৯৮৪ সালের এমনই এক লিপ ইয়ার ডে-তে তাঁর জন্ম। হিসাব মতো সান-এর বয়স ৪০। কিন্তু এতদিনে মাত্র ১৬ বার নিজের জন্মদিন পালন করেছেন তিনি। কারণ প্রতি বছর ক্যালেন্ডারে তাঁর জন্মের দিনটাই উল্লেখ থাকে না। এবার সেই একই ঘটনা ঘটবে তাঁর মেয়ের জীবনেও। সোশাল মিডিয়ায় আনন্দে আত্মহারা হয়ে সান জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই তিনি চেয়েছিলেন এমন কিছু হোক। যদিও সন্তান প্রসবের দিন ঠিক হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। সেইমতো হাসপাতালে ভর্তিও হন সান। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, জন্ম-মৃত্যু এসব ঈশ্বরের ইচ্ছায় হয়। এক্ষেত্রেও তাই ৩ দিন পর সন্তান প্রসব করেন সান। জন্ম দেন ফুটফুটে এক কণ্যাসন্তানের।
আরও শুনুন: বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িই ঠিকানা পাত্রের, কোথায় রয়েছে ‘ঘরজামাই’দের গ্রাম?
সন্তানের জন্ম হলে বাবা-মার আনন্দে আত্মহারা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে সান এবং তাঁর স্বামী দুটো কারণে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিলেন। প্রথমত ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্ম হয়েছে মেয়ের। যা প্রথম থেকেই তাঁরা ভেবে এসেছিলেন। আর দ্বিতীয়ত এই সন্তান ‘রেনবো বেবি’। অর্থাৎ একটি ভ্রূণ নষ্ট হওয়ার পর এই সন্তান পৃথিবীর আলো দেখেছে। সেই ঘটনাও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে সান। বছরখানেক আগে এরকমই সময় অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সন্তান পৃথিবীর আলো দেখেনি। ভ্রূণ অবস্থাতেই নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সেই শোক ভুলিয়েছে সদ্যজাত। উপরি পাওনা হিসেবে যোগ হয়েছে জন্ম তারিখের মিল। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় আবেগে ভেসেছে নেটদুনিয়া। অনেকেই সদ্যজাতের সুস্থতা কামনা করেছেন। সেইসঙ্গে সান-কেও মা হওয়ার অভিনন্দন জানিয়েছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা।