বিনামূল্যে তীর্থদর্শনের দায়িত্ব নিল সরকার। নতুন প্রকল্পের আওতায়, রাজ্যের প্রবীণদের ধর্মস্থানে ঘোরার জন্য খরচ করতে হবে না একটাকাও। কোন রাজ্যে চালু হল এমন প্রকল্প? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
এ দেশে তীর্থস্থানের কমতি নেই। প্রায় সব রাজ্যেই রয়েছে বিশেষ কিছু ধর্মস্থান। স্রেফ হিন্দু নয়, প্রতিটি ধর্মের পবিত্র স্থান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। উত্তর থেকে দক্ষিনে সেইসব ধর্মীয় স্থানের টানেই ছুটে যান অনেকে। বিশেষ করে প্রবীণদের মধ্যে এই তীর্থযাত্রার প্রতি আগ্রহ সবথেকে বেশি লক্ষ করা যায়।
কিন্তু ইচ্ছা থাকলেই তো হল না। জোর থাকতে হবে পকেটেরও। কমবয়সীরা যে রাস্তা হেঁটে পার করবেন, বয়স্কদের সেটুকু পেরোতেই দরকার হবে গাড়ি। কিংবা আরও অনেক অতিরিক্ত খরচ যোগ হয় বয়স্কদের তীর্থ ভ্রমণে। আর্থিক সঙ্গতি না থাকলে তীর্থভ্রমনের সাধ অপূর্ণই থেকে যায়। কখনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে ধর্মস্থানে বিনামূল্যে ভ্রমণ আয়োজন হলে সুযোগ মিলতে পারে। তবে এও সীমিত। সম্প্রতি এই আর্থিক অসুবিধার কারণে তীর্থ ভ্রমণে যেতে না পারা প্রবীণদের কথা ভেবেই বিশেষ প্রকল্প চালু করেছেন মহারাষ্ট্র সরকার। সে রাজ্যের প্রবীণরা এবার থেকে বিনামূল্যেই বিভিন্ন ধর্মস্থানে ঘুরে আসতে পারবেন। সব দায়িত্ব সরকারের। শুধু পয়সা খরচ না, যাবতীয় ব্যবস্থাও করবে রাজ্য সরকারই।
সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। নতুন এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ দর্শন যোজনা’। বয়স ৬০ পেরোলেই এই প্রকম্পের সুবিধা পাবেন সে রাজ্যের বাসিন্দারা। শুধু মহারাষ্ট্র নয়, অন্যান্য রাজ্যের দর্শনীয় স্থানও বিনামূল্যে দেখাবে সরকার। মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়সের আরও সুবিধা মিলবে। ৬০ পেরোনোর দু’বছর আগেই তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তীর্থযাত্রীসের বাস, ট্রেনের ফ্রি টিকিট দেওয়া হবে। থাকার জায়গা, খাবার, জল সবকিছুর ব্যবস্থাই করবে সরকার। শুধু তাই নয়, এমন অনেকেই থাকবেন যাঁদের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। সেইসব প্রবীণদের জন্যও বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা থাকবে। প্রতি বছর একবার করে তীর্থভ্রমণ করা যাবে। আলাদা করে কোনও শর্ত নেই। স্রেফ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা আর বয়সের গণ্ডি পেরোলেই হবে।