বিয়ের জন্য পাত্র পাত্রী নির্বাচন করা ঝক্কির কাজই বটে। কিন্তু ভোট দিয়ে হবে সেই নির্বাচন, এমন কথাও কি শুনেছে কেউ?
ভোট দিয়েই হয় বিয়ে। বলা ভালো, বিয়ের পাত্র পাত্রী হবেন কারা, তা বেছে নেওয়া হয় ভোট প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই। ভোটের হাওয়ার এহেন কথা শুনলে অবাক লাগতেই পারে। দেশ চালাবে কারা, তা নাহয় ভোট দিয়ে ঠিক করাই নিয়ম। তা বলে জীবনেও ভোটের খেলা? জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা কি ছেলেখেলার বিষয়? কত কিছু খতিয়ে দেখে, কতরকম ভাবনাচিন্তা করে তবে না এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়! পুর বিষয়টিই তো ব্যক্তিগত, আমি কার সঙ্গে থাকতে চাই কিংবা কার সঙ্গে থাকতে স্বচ্ছন্দ, তেমনটা দেখেই সঙ্গী নির্বাচন করা প্রয়োজন। তার বদলে, অনেকে মিলে ভোট দিয়ে সঙ্গী নির্বাচন করে দেবেন, বিয়েও হবে তারই সঙ্গে, এ আবার কী কথা!
আরও শুনুন:
মেয়েরা কি ভোট দিতে পারবে না? দাবি উঠতে পাশে দাঁড়ালেন খোদ রবীন্দ্রনাথ
কিন্তু শুনতে যতই আশ্চর্য লাগুক না কেন, বিষয়টি সত্যি। ভোট দিয়েই পাত্র ও পাত্রী নির্বাচন করা হয় এই বিয়েতে। তারপর অবশ্য ভারি নিষ্ঠাভরে, যাবতীয় নিয়ম আচার মেনেই সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
ভাবছেন, কোথায় হয় এমন কাণ্ড? আসলে, সবটাই হয় মজার ছলে। কানপুর আইআইটির হস্টেলে প্রতি বছর দুই সিনিয়র ছাত্রের বিয়ে দেওয়া হয় ধুমধাম করে। এমনটাই সেখানকার ফেয়ারওয়েলের রীতি আসলে। তাতে না আছে যৌনতার কোনও সম্পর্ক, না আছে কাউকে অপমান বা র্যাগিং করার চেষ্টা। তবে হ্যাঁ, বর বা কনের মতামত নিয়ে এখানে কেউই বিশেষ মাথা ঘামায় না। বরপক্ষ আর কনেপক্ষের ভোটটাই আসল কথা। দুই ছাত্রের একজন পাত্র, অন্যজন ‘পাত্রী’ সেজে বিয়ে করতে আসেন। ছাত্রীদের হোস্টেলে ‘পাত্রী’ হওয়া ছেলেটিকে সাজানো হয়। তার আগে তাঁদের বাগ্দান থেকে শুরু করে মেহেন্দি, সঙ্গীত, গায়েহলুদ— সমস্ত আচারই নিয়ম মেনে পালন করা হয়। তবে বিয়ের মন্ত্র কিন্তু সংস্কৃত নয়, পড়ুয়াদের স্বরচিত প্রেমের কবিতা পড়েই সম্পন্ন হয় বিয়ে। এ গল্পে অবশ্য এক ভিলেনও থাকেন, তাঁকেও বেছে নেওয়া হয় ভোট দিয়েই।
আরও শুনুন:
ভোটেও তিনি শাহেনশাহ্! বিরোধীর পা ছুঁয়ে প্রণাম, রেকর্ড মার্জিনে জিতেছিলেন বিগ বি
এমনিতে পাঁচ বছর পরপর লোকসভা নির্বাচন দেখে দেশ। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও হয় পাঁচ বছর অন্তর। কিন্তু প্রত্যেক বছরই এমন অভিনব এক ভোটের সাক্ষী থাকে কানপুর আইআইটি।