বিয়ে আর ব্যয়। একের পিছনেই আসে আরেকটি। বিয়ে করলেও যেমন ব্যয়ের ধাক্কায় টালমাটাল দশা হয়, আবার বিয়ের নেমন্তন্ন রাখতে গেলেও আসে খরচের প্রশ্ন। আর সেই খরচ যে কোন আকাশছোঁয়া পর্যায়ে উঠতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এই বিয়ের দম্পতি আর নিমন্ত্রিত, দুই পক্ষই। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, তবে শুনে নেওয়া যাক সে গল্প।
সম্প্রতি একের পর এক তারকা জুটির বিয়ে দেখেছে বলিউড। কেউ ঝুঁকেছেন ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর দিকে, কেউ আবার সাতপাক ঘুরেছেন ঘরোয়া আসরেই। কিন্তু রূপকথার মতো সাজানো মণ্ডপ, ডিজাইনার ড্রেস, জিভে জল আনা খাবারদাবার- বাদ পড়েনি কিছুই। ভারচুয়াল দুনিয়ার সুবাদে এই সবকিছুই তারিয়ে তারিয়ে দেখেছেন অনুরাগীরা। মনে মনে হিসেব করেছেন খরচের অঙ্কটারও। কিন্তু সবসময় তো এমন নিরাপদ দূরত্বে বসে থাকার সুযোগ মেলে না। উলটে ব্যয়বহুল কোনও বিয়ের মাঝখানে গিয়ে পড়লে নিজের পকেটেও যে ভালরকম টান পড়ে, সে কথাই এবার বুঝতে পারলেন একাধিক ব্যক্তি। কারণ, সেখানে নিজেদের বিয়ের বিপুল ব্যয়ভার যে নিমন্ত্রিতদের ঘাড়েই চাপিয়ে দেওয়ার মতলবে ছিলেন নবদম্পতি। দাঁড়ান, ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: কাজ বলতে পর্ন দেখা, বেতন আকাশছোঁয়া, এমনই মজার চাকরি পেলেন তরুণী
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রেই সামনে এসেছে একটি বিয়ের কথা। সেখানে অত্যন্ত ধুমধাম করে বিয়ে সেরেছেন নবদম্পতি। লোকজনকে নিমন্ত্রণও করেছেন আশ মিটিয়ে। কিন্তু এরপরেই কাহানি মে টুইস্ট। নিমন্ত্রণের কার্ডে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্য কোনও উপহার নয়, কেবল টাকা দেওয়া হোক তাঁদের। এখানেই শেষ নয়, সেই টাকার পরিমাণও কার্যত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন ওই দম্পতি। বিয়ের জন্য যেসব খাতে খরচ হয়েছে, তার প্রত্যেকটির জন্য একেকটি তহবিল তৈরি করেছেন তাঁরা। তা ছাড়াও রয়েছে একটি সাধারণ তহবিল এবং মধুচন্দ্রিমার জন্য নির্দিষ্ট আরও একটি তহবিল। বিয়েতে মোট কত খরচ হয়েছে তা জানিয়ে নিমন্ত্রিতদের ওই তহবিলগুলিতে টাকা দিতে বলেছেন নবদম্পতি। বিয়ে বাবদ মোট ২৩ লক্ষ টাকা খরচের হিসেব দেওয়া হয়েছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। সেখানে রয়েছে কনের পোশাক, সাজসজ্জা, ওয়েডিং ফোটোগ্রাফার, নিমন্ত্রিতদের জন্য খাবার, হানিমুন ইত্যাদির খরচ, এমনকি ম্যানিকিওর ও পেডিকিওরের খরচ পর্যন্ত বাদ যায়নি। আর সেই টাকাই নিমন্ত্রিতদের কাছ থেকে তুলতে চেয়েছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: শুধু নাক-মুখ নয়, পায়ুপথেও সম্ভব শ্বাসক্রিয়া, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিয়ের কথা জানিয়ে কনের পরিচিত এক ব্যক্তি বলেছেন, মোট অতিথির সংখ্যা যদি শ-খানেক হয়, তাহলে প্রত্যেককেই একটি বড় অঙ্কের টাকা উপহার হিসেবে দিতে হবে। সেই বিষয়টিকে ভালভাবে দেখছেন না বলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখা উচিত বলেও মতপ্রকাশ করেছেন তিনি। তবে শেষমেশ ওই দম্পতির লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কি না, সে কথা জানা যায়নি আর।