ছুটি দিতে আপত্তি করেন বস? কিংবা কাজ নিয়ে প্রবল কড়াকড়িতে আপনার প্রাণ ওষ্ঠাগত? বিক্রি করে দিন! সমস্যা সমাধানের পথ দেখাল চিন। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বস মানেই ভয়ংকর ব্যাপার, এমনটা অনেক কর্মীরই মনের কথা। কিন্তু সকলের হাতে সে সমস্যা সমাধানের উপায় থাকে না। চাইলেই চাকরি বদল করেও ফেলা যায় না। এই পরিস্থিতিতে বসের সমস্ত বায়নাক্কা, কড়া কথা সহ্য করে টিকে থাকা ছাড়া আর গতি কী! তবে এই পরিস্থিতিতেও যে অন্য পথ রয়েছে, সেই উপায় বাতলে দিচ্ছে চিন। সাফ জানাচ্ছে, বসকে পছন্দ না হলে বিক্রি করে ফেললেই তো হয়।
আরও শুনুন:
স্বামী বিবেকানন্দ আর মহম্মদ শামি সতীর্থ! কোন ক্লাবে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন জানেন?
না না, আজগুবি নয়, একেবারেই সত্যি কথা। নিজেদের অফিসের বসদের বিক্রি করতে চেয়েই বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন চিনের কোনও কোনও কর্মী। পুরনো জিনিস বিক্রি হয়, এমন ই-কমার্স সাইটে নিজেদের অফিসের বস এবং ম্যানেজারদের বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের যুক্তি, ঊর্ধ্বতনদের অত্যাচারেই তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। গোটা কাজের পরিবেশটাও বিষিয়ে গিয়েছে। সেই অবস্থার বদল চান তাঁরা। তাই কেবল বস নয়, নিজেদের যে সহকর্মীদের একেবারেই সহ্য হয় না, তাঁদেরকেও বিক্রি করতে উঠেপড়ে লেগেছেন এই কর্মীরা। এক-দুজন নয়, একাধিক কর্মীর বিজ্ঞাপনের ভিড়ে রোজই উপচে পড়ছে ওই ই-কমার্স সাইট। বিজ্ঞাপনগুলিতে বস এবং সহকর্মীদের বিক্রির দাম ধরা হচ্ছে ভারতীয় মুদ্রায় চার লক্ষ থেকে ন’লক্ষের মধ্যে। তবে কেউ কেউ মাত্র পাঁচ-ছ’হাজার টাকাতেও বসকে বিক্রি করতে রাজি। বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বসকে নিয়ে এমনই বিরক্ত যে, যে কোনও ভাবেই তাঁর কবল থেকে মুক্তি পেতে চান।
আরও শুনুন:
মাত্র ৮০০০ টাকায় মিলবে স্বর্গের জমি! বেচাকেনার ভার নিল চার্চ
তবে সত্যিই কি এভাবে বস বা সহকর্মীদের কেনা বেচা করা যাচ্ছে? বলাই বাহুল্য, তেমনটা আদৌ সম্ভব নয়। তবে এহেন বিজ্ঞাপন থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট। অনেকসময়ই কাজের অত্যধিক চাপে আমরা হাঁপিয়ে উঠি। বস কিংবা সহকর্মীরা সহযোগী, সংবেদনশীল না হলে কাজের পরিবেশ আরও তেতো হয়ে যায়। ঊর্ধ্বতনদের চাপ এবং কর্মক্ষেত্রে রাজনীতির শিকার হন অনেক কর্মীই। সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ব্যগ্র হয়ে উঠি আমরা। সত্যি বলতে, এই পুঁজিবাদী সময়ে কাজের চাপ ও প্রতিযোগিতা দুইই বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। মজার ছলে হলেও, সেই অসহনীয় অবস্থাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই বিজ্ঞাপনগুলি।