পাহাড়ের ফাটল দিয়ে যেন ছিটকে বেরোচ্ছে রঙের ফোয়ারা। পাহাড়, নাকি আস্ত একটা রামধনু! হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই এমন দৃশ্য দেখা যায় এখানে। শুনে নেওয়া যাক এই রেনবো ওয়াটারফলের কথা।
আসলে জলপ্রপাত, কিন্তু দেখলে মনে হয় যেন একটা গোটা রামধনু। তফাত একটাই, আকাশের বুকে নয়, পাহাড়ের গায়ে জেগে উঠেছে সে। হ্যাঁ, মাটি থেকে প্রায় হাজার দেড়েক ফুট উঁচুতে এক রামধনুই তৈরি করে ফেলেছে প্রকৃতির আজব খেয়াল। তাই এর নাম রেনবো ওয়াটারফল। কোথায় রয়েছে এই অভিনব জলপ্রপাত?
আরও শুনুন: পৃথিবী নাকি ঘুরছে না! পাক যুবকের আজব দাবিতে হাসির রোল নেটপাড়ায়
আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে রয়েছে ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্ক। আর সেই পার্কের ভিতরেই পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে এসেছে এই জলপ্রপাত। ১৪৫০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের খাঁজ থেকে ঝরঝর করে নিচে নামছে জল। কিন্তু প্রবল হাওয়ার কারণে সেই জল যেন উড়ছে। আসলে এত বেশি উচ্চতা থেকে এই জলধারা মাটিতে নামছে, যে, অত উঁচুতে বাতাসের বেগ অত্যন্ত বেশি। তাই পাহাড়ের ফাঁক থেকে জল যখন গড়িয়ে নিচে নামে, তখন প্রচণ্ড হাওয়ায় তা যেন উড়ছে বলেই মনে হয়। আর সেই উড়ন্ত জলবিন্দুতে প্রতিফলিত হয় সূর্যের রশ্মি। তার ফলেই তৈরি হয় রামধনু-রঙা বর্ণচ্ছটা। প্রায় দেড় হাজার ফুট উচ্চতা জুড়ে পুরো প্রপাতটাই তখন হয়ে যায় আস্ত একটা রামধনু।
ভাবছেন, একটা পার্কের ভিতর আবার জলপ্রপাত এল কেমন করে? আসলে এ তো মানুষের হাতে পুরোপুরি গড়ে তোলা কোনও কৃত্রিম পার্ক নয়। ইয়োসেমাইট পার্কটি ক্যালিফোর্নিয়ার চারটি ভিন্ন কাউন্টি জুড়ে বিস্তৃত। প্রায় ৭ লক্ষ ৬২ হাজার একর এলাকা জুড়ে রয়েছে এই পার্ক, যা সে দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যানগুলির তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছে। এই বিশাল অংশের মধ্যে প্রাকৃতিক ভূমিরূপ রয়ে গিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই, যেমন রয়েছে এই পাহাড় ও তার গা বেয়ে নেমে আসা জলপ্রপাত। জলপ্রপাতের নাম ইয়োসেমাইট ওয়াটারফল হলেও, রেনবো ওয়াটারফল নামেই তা বেশি পরিচিত।
আরও শুনুন: এ দেশে রানিই ‘রাজা’! চাকর রাখতে হয় পুরুষকে, তবেই নাগরিকত্ব মেলে নারীদের
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই জলপ্রপাতের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ‘নেচার ইজ অ্যামেজিং’ নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের তরফে পোস্ট করা ওই ভিডিওটি তুলেছিলেন ফটোগ্রাফার গ্রেগ হার্লো। তাঁর আগে তোলা ভিডিওটি ফের পোস্ট করা হতেই নতুন করে তা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। ইতিমধ্যেই ওই ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন অন্তত দেড় কোটি মানুষ।