কেবল ধৃতরাষ্ট্রই নন। নিজেকে শতপুত্রের জনক বলে দাবি করতে পারেন এই ব্যক্তিও। তবে এবার তিনিও পিছু হটছেন। সন্তানের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে যাওয়ার পর কী করলেন এই ব্যক্তি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কথায় বলে, অধিকন্তু ন দোষায়! তা বলে একশো পেরিয়ে যাবে, তাও সন্তানের সংখ্যা? এমনটা ভাবতে গেলেও বোধহয় সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এই ব্যক্তি কিন্তু সমস্যায় পড়েননি মোটেও। শুধু ভাবনাই নয়, সেই ভাবনাকে কাজেও পরিণত করে ফেলেছেন তিনি। আর তার ফলেই তাঁর মোট সন্তানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০২-তে। শুধু তাই নয়, ৫৭৮ জন নাতি নাতনিও রয়েছে এই ব্যক্তির। তবে এতদিন তাঁর টনক নড়েছে। মনে হয়েছে যে এবার থেমে যাওয়া উচিত। তাই এতদিন পর জন্মনিরোধক ওষুধের খোঁজে বেরিয়েছেন তিনি।
কী ভাবছেন, সবটাই আজগুবি? এমনটাও আবার হয় নাকি? আজ্ঞে হ্যাঁ, এর সবটাই ঘটেছে একেবারে বাস্তবে। তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: বাড়িতে কড়া শাসন, পর্নদুনিয়ায় পা রেখে তবু মিয়া খালিফা হওয়ার স্বপ্ন মুসলিম তরুণীর
আসলে প্রথম থেকেই ভাই, বন্ধু এবং একাধিক আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে একটাই উপদেশ পেয়ে এসেছেন ওই ব্যক্তি। সকলেই তাঁকে বলেছিলেন, যত বেশি সম্ভব বিয়ে করতে। যাতে অনেক বেশি সংখ্যায় সন্তানের জন্ম দেওয়া যায়। আর এই উপায়েই তাঁর বংশ আরও বড় হবে, নিজেদের সংস্কার সংস্কৃতি জিইয়ে রাখা যাবে, এমনটাই বলেছিলেন ওই শুভাকাঙ্ক্ষীরা। আর সেই উপদেশ একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন মুসা হাসায়া কাসেরা নামের ওই ব্যক্তি। উগান্ডার বাসিন্দা এই ব্যক্তির বয়স বর্তমানে ৬৮ বছর। আর এই মুহূর্তে একজন দুজন নয়, মোট ১২ জন স্ত্রী রয়েছে তাঁর। আর তাঁদের গর্ভেই একশোর বেশি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মুসা।
প্রথমবার বিয়ে করেছিলেন ১৯৭২ সালে। তখন তিনি ও তাঁর সেই স্ত্রী, দুজনেরই বয়স ছিল ১৭। তার পরের বছরই জন্মায় তাঁদের প্রথম সন্তান সান্দ্রা। আর তারপর বিয়ে এবং পিতৃত্ব হাত ধরাধরি করে চলতেই থেকেছে তাঁর জীবনে। সত্যি বলতে এত সন্তানের মধ্যে কেবল প্রথম এবং শেষ সন্তানের নামটুকুই মনে রাখতে পেরেছেন ওই ব্যক্তি। অনেককে তিনি ঠিকমতো চেনেনও না। তবে এইবার তাঁরও মনে হয়েছে যে, আর নয়। শরীর ভেঙে পড়েছে, তার উপরে সম্পত্তির এতজন শরিক হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন তিনি। মাত্র দু’একর জমির উৎপাদনে এতজনের খাবার জোটানোও মুখের কথা নয়। খাদ্য বস্ত্রের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসটুকুও না দিতে পারায় তাঁকে ছেড়ে গিয়েছেন দুই স্ত্রী। আর তারপরই টনক নড়েছে মুসার। আপাতত স্ত্রীদের জন্মনিরোধক ওষুধ খাওয়ানো শুরু করেছেন তিনি। যদিও নিজে এই জাতীয় কোনও সাবধানতা আগেও অবলম্বন করেননি, এখনও করছেন না। তবে আগুপিছু না ভেবেই এতজন সন্তানের জন্ম দেওয়া যে খুব একটা সুবুদ্ধির পরিচয় হয়নি, সে কথাই এখন মেনে নিচ্ছেন ওই ব্যক্তি।