মনপসন্দ খাবার খাওয়ার পর দু-চোখে যেন নেমে আসে ঘুম। বাড়িতে হলে আলাদা কথা, কিন্তু রেস্তরাঁয় সে সুযোগ মিলবে কীভাবে? যদি মেলে তবে অবশ্য কথাই নেই। ঠিক সেই ব্যবস্থাই দেখা গেল এক রেস্তরাঁয়। কোথায় সেই রেস্তরাঁ? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
রসিকতা করেই কথাটা বলা শুরু করেছিলেন খাদ্যরসিকরা। ভরপেট খাওয়ার পর, একটু ঘুমনোর ব্যবস্থা করলে হয় না? গোড়ার দিকে হাসিমজায় সে কথা উড়িয়ে দিয়েছিল রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। তারপর ঠিক করল, ক্রেতাদের সন্তুষ্টিই তো আসল কথা। তাহলে খাওয়ার পর ঘুমনোর একটু বন্দোবস্ত করলে অসুবিধা কোথায়! যেমন ভাবা তেমন কাজ। বিছানা পাতা হল রেস্তরাঁয়। আয়েশে খাওয়ার পর এখন তাই আরামে দু-দণ্ড ঘুমিয়েও নিতে পারেন খাদ্যরসিকরা। রেস্তরাঁর এই অভিনব ব্যবস্থায় পথ দেখাল জর্ডন।
আরও শুনুন: শ্রাবণমাসে ‘হালাল’ চা দেওয়া হয়েছে বন্দে ভারতে! রেলযাত্রীর অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল
আসলে, এই আবদার বোধহয় বিশ্বের সব খাদ্যপ্রেমীরই। রেস্তরাঁয় যাওয়া মানেই ইচ্ছে-মতো খাওয়া-দাওয়া। আর সেই ভরপেট আহারের পর চোখের পাতা যেন শ্রান্তিতে বুজে আসে। খুশির আবেশে ঘুম চলে আসে। কিন্তু রেস্তরাঁয় তো আর ঘুমনোর ব্যবস্থা নেই। অতএব মনের সাধ মনে রেখে ঘুমের প্রস্তাব মুলতুবি করতে হত সকলকে। ঠিক সেই জায়গাতেই বাজিমাত করেছে জর্ডনের একটি রেস্তরাঁ। খাওয়ার পাশাপাশি ঘুমনোরও বন্দোবস্ত করেছে রেস্তরাঁটি। সম্প্রতি সেই রেস্তরাঁর অনরমহলের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অনেকটা ডরমেটারির মতোই পরপর পাতা আছে সিঙ্গল বেড। সেখানে রীতিমতো গদি-কম্বলের ব্যবস্থা করা আছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে খাওয়ার পরে শুয়ে পড়ার যাকে বলে একেবারে সুবন্দোবস্ত।
তবে, এই অভিনব ব্যবস্থার নেপথ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে একটি বিশেষ খাবারের। সেটি হল সে-দেশের জাতীয় খাবার ‘মনসফ’। ঘি-মাংস-চাল মিলিয়ে মিশিয়ে মশলাদার এই খাবার অনেকটা বিরিয়ানির মতোই। তবে পরিমাণেও যেমন তা বেশি, তেমনই বেশ ফ্যাটযুক্ত। স্বাভাবিক ভাবেই এ খাবার খাওয়ার পর ঝিমোতে শুরু করেন অনেকে। মনে হয়, একটু ঘুমোতে না পারলে যেন আর ঠিক চলছে না। ঠিক সেই কথাটাই খাদ্যপ্রেমীরা বলতেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকে। মজা করেই বলতেন, তবে মজার কথা হয়ে তা আর বেশিদিন থাকেনি। খাওয়ার পর ঘুমের আয়েশি ব্যবস্থা এখন একেবারে বাস্তব।
আরও শুনুন: বেডরুমে আয়না, ভুল জায়গায় বাথরুম, যৌনজীবনে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা তো দারুণ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। শুধু জর্ডন বলে নয়, প্রায় সব দেশের খাদ্যরসিকদেরই তো এইটাই দাবি। একটু বেশি খাওয়া-দাওয়ার পর হালকা ঘুম হলে শরীর-মন দুই-ই তরতাজা হয়ে ওঠে। সে ব্যবস্থা সচরাচর রেস্তরাঁয় থাকে না। অতএব নেটিজেনদের বক্তব্য, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও যদি এমন ব্যবস্থা করা যায় তবে তো সোনায় সোহাগা। পছন্দসই খাওয়া-দাওয়া আর তারপর একটু শান্তির ঘুম- যেন মণিকাঞ্চন যোগ! একযোগে যদি দুই-ই পাওয়া যায় কোনও রেস্তরাঁয়, তবে মন্দ কী!