এই মন্দিরে পুজো দিলেই নাকি সেরে যেতে পারে ক্যানসার। শুধু তাই নয়, যে কোনও কঠিন অসুখই সারিয়ে দিতে পারে এই মন্দিরের পরিবেশ। স্রেফ মন্দিরটাকে কয়েকবার প্রদক্ষিণ করলেই নাকি আশ্চর্য ফল মেলে, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। তা কোথায় আছে এমন মন্দির? আসুন শুনে নিই।
কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। আর সেই বিশ্বাসে ভর করেই হাজারও মানুষ প্রতিদিন হাজির হন রাজস্থানের এই মন্দিরে। কথিত আছে, এখানে পুজো দিলে যে কোনও রোগ সেরে যায়। এমনকি ক্যানসার কিংবা টাইফয়েডের মতো কঠিন অসুখও এই মন্দিরে পুজো দিলেই সেরে যেতে পারে।
আরও শুনুন: প্রেমিকা চাই, সঙ্গে ১২ কোটি টাকাও… বুদ্ধের কানে লাউডস্পিকার লাগিয়ে দাবি যুবকের
কথা বলছি রাজস্থানের দেবনারায়ণ মহারাজের মন্দির সম্পর্কে। তথাকথিত কোনও পৌরাণিক দেবতার মন্দির নয়। বলা ভালো, এক লৌকিক দেবতাই এই মন্দিরের প্রধান উপাস্য। কিন্তু তাঁর মাহাত্ম্য বেশ জনপ্রিয়। কথিত আছে মন্দিরটি প্রায় ১০০০ বছরের পুরনো। সেইসময় কে বা কারা এই মন্দির তৈরি করেছিল তা সকলেরই অজানা। এদিকে মন্দিরটি একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। তাই কোনও আধুনিক যন্ত্র ছাড়া কীভাবে অত উঁচুতে মন্দির তৈরি করা হয়েছিল, তা আজও রহস্যের। তবে তার চেয়েও বেশি রহস্যজনক এই মন্দিরের অলৌকিক ক্ষমতা। প্রচলিত বিশ্বাস, এই মন্দিরে পুজো দিলেই নাকি যে কোনও কঠিন রোগ সেরে যায়। এমনকি মারণব্যাধি ক্যানসার পর্যন্ত একেবারে শেষ হতে পারে এই মন্দিরে এলে। মন্দিরের উপাস্য তথা দেবনারায়ন মহারাজের আরতীর পর যে বিভূতি পড়ে থাকে, তা গায়ে মেখে নিলেই নাকি সব রোগ উধাও। একইসঙ্গে মন্দিরটি প্রদক্ষিন করলেও বিশেষ ফল মেলে। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মন্দিরে পুজো দিতে আসেন ভক্তরা। অনেকেরই দাবি, তাঁদের কঠিন থেকে কঠিনতর অসুখও সেরে গিয়েছে এই মন্দিরের দৌলতে।
আরও শুনুন: দুধ বিক্রি করেই রোজ আয় ১৭ লক্ষ, ছকভাঙা পথে তাক লাগালেন আইআইটি-র স্নাতক
কথিত আছে, এই দেবনারায়ণ মহারাজ গুর্জর বংশের রাজা ছিলেন। তাঁর পাণ্ডিত্য ও বীরত্বের কাহিনী এলাকার মানুষদের মুখে মুখে ফেরে। সেই মহারাজাই এখানে দেবতা হিসেবে বিরাজমান। তাঁর কৃপাতেই মন্দিরে আগত ভক্তদের যে কোনও রোগ সেরে যায়। মন্দিরে বিভিন্ন প্রান্তে এমন কিছু নির্দশন রয়েছে, যা দেখিয়ে স্থানীয়রা এখনও রাজার উপস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বিশ্বাস দেবনারায়ণ মহারাজ চিরকাল এই মন্দিরেই অবস্থান করবেন। তাঁকে ভক্তিভরে স্মরণ করলেই মনস্কামনা পূরণ করেন তিনি। সেই জোরেই সকলে বিশ্বাস করেন এই মন্দির যকোনও রোগ সারিয়ে দিতে পারে, তা সে যতই কঠিন ব্যাধি হোক না কেন।