ক্যালেন্ডারের পাতা ওলটালে বয়স বাড়বে, এমনটাই দস্তুর। কিন্তু অবাক কাণ্ড দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে নাগরিকদের বয়স বাড়া তো দূরের কথা, বরং সব নাগরিকের বয়স কমেই যাচ্ছে। কোন মন্ত্রবলে সম্ভব হল এই অসম্ভব? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
এ যেন ভোজবাজি! দিন গড়ালে বয়স বাড়বে। গোটা পৃথিবী সে কথাই জানে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য আলাদা নিয়ম। সেখানে বহু নাগরিকের বয়স বরং এক ধাক্কায় কমে গেল। অর্থাৎ যাঁর বয়স ছিল ৫০, তাঁর বয়স হল ৪৯। কিন্তু এরকমটা কোন জাদুতে সম্ভব? না, কোনও অ্যান্টি-এজিং প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজিমাত নয়। বরং হিসবের সাধারণ এক কেরামতিতেই কমল সে-দেশের নাগরিকদের বয়স।
আরও শুনুন: মুখেই হিন্দুপ্রেম! স্বার্থ মেটাতে মুসলিম উকিলের কাছেই ছুটেছিলেন কঙ্গনা
সাধারণত বয়স গণনার হিসাবের ক্ষেত্রে ধরা হয় যে, জন্মের সময় একজনের বয়স শূন্য। পরের জন্মদিনে এসে তার বয়স হয় এক বছর। এভাবেই বয়সের হিসাব যোগফল ধরে ধরে এগোতে থাকে। এটিই আন্তর্জাতিক বয়স গণনার নিয়ম। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার হিসাবটা ছিল একটু অন্যরকম। সেটিকে সে-দেশের চিরায়ত গণনা পদ্ধতি বলা হয়। এই হিসাবে ধরা হয় যে, জন্মের সময়ই কারোর বয়স হল ১। এরপর তার সঙ্গে বছরের হিসাব যোগ হতে থাকে। যদিও ১৯৬০-এর দশক থেকেই আন্তর্জাতিক নিয়মে বয়স গণনা চালু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, তবে বহু নাগরিক এখনও প্রাচীন গণনারীতিতি অনুসরণ করছেন। এই দুই হিসাব মেলাতে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধা। তাই নিয়ম করে আন্তর্জাতিক নিয়মটিকেই বলবৎ করা হয়েছে। এর ফলে বহু নাগরিকেরই বয়স অন্তত একটা বছর কমে গিয়েছে। গত ডিসেম্বরেই চিরায়ত গণনা পদ্ধতিটিকে আইন করে বাতিল করা হয়েছে। ফলত নয়া নিয়মে নাগরিকদের বয়সের হিসাব খানিকটা পিছোচ্ছে। অর্থাৎ কারও কারও ক্ষেত্রে কমছে বয়স। এতে জটিলতা অনেক কমবে বলেই আশাবাদী প্রশাসন।