স্বেচ্ছায় তুলেছিলেন নিজের নগ্ন ছবি। কিন্তু তা যে মা-বাবার হাতে এসে পড়বে তা বোধহয়য় স্বপ্নেও ভাবেননি এক তরুণী। অথচ বাস্তবে হল ঠিক সেটাই। আর অভিভাবকরা প্রায় হাতেনাতেই ধরে ফেললেন তাঁর গোপন কাজ। তা কোন গোপন কাজটি করতেন ওই তরুণী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় চিঠিপত্রের জন্য নিজেদের বাড়ির সামনে রাখা লেটারবক্সটি খুলেছিলেন এক ব্যক্তি। আর সেখানে হাতে যা পেলেন, তাতে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। চিঠির ঝাঁপি নয়, লেটারবক্সে পড়ে আছে একাধিক নগ্ন ছবি, তা-ও আবার তাঁরই মেয়ের।
আরও শুনুন: একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌনতার পরেও তিনি কুমারী! রহস্য ফাঁস পর্ন তারকার
তড়িঘড়ি তিনি এসে সে কথা জানান তাঁর স্ত্রীকে। দুজনেই এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, কেউ তাঁদের মেয়েকে অসম্মান করার জন্য এরকম কাণ্ড ঘটিয়েছেন। পুরো ব্যাপারটাই যে তাঁদের কাছে বেশ আতঙ্কের ছিল, তা তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় ছিল স্পষ্ট। কিন্তু ভুল ভাঙল একটু পরেই। জানা গেল, এ কোনও বিকৃত ছবি নয়। বরং স্বেচ্ছায় এই নগ্ন ছবি তুলেছেন তাঁদের মেয়েই।
আরও শুনুন: মা হতে চান, সোশ্যাল মিডিয়াতেই সন্তানের ‘বাবা’-র খোঁজ তরুণীর
কিন্তু কেন? আকাশ-পাতাল ভেবেও সে কারণ খুঁজে পাননি তাঁরা। তবে কারণটি তাঁর মেয়ের কাছে ছিল খুব স্পষ্ট। এক সময় এক রেস্তরাঁয় ম্যানেজারের চাকরিই করতেন অ্যাম্বার পেইজ নামে বছর বাইশের এই তরুণী। পরে সেই চাকরি তিনি ছেড়ে দেন। ঝোঁক ছিল মডেলিং-এ। তাই গোপনে সেই কাজের সঙ্গেই যুক্ত হন। নেটদুনিয়ায় বিশেষ গোত্রের মডেলিং ও যৌনালাপের পেশা অনেক তরুণীই নিয়ে থাকেন। এবং তাতে উপার্জনও হয় বেশ ভালো। অ্যাম্বারের এ নিয়ে কোনও ছুঁৎমার্গ ছিল না। তবে, বাড়িতে তিনি এ কথা জানাননি। কেননা, এই কাজ যে তাঁর অভিভাবকরা ভাল চোখে নেবেন না, তা তিনি বেশ জানতেন। তা ছাড়া, তিনি নিজে এই কাজ কতদিন করবেন, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত ছিলেন না। তাই সাতপাঁচ ভেবে কিছুই আর বলেননি।
আরও শুনুন: সবচেয়ে বেশি সঙ্গমে লিপ্ত হন কারা? যৌন মিলনের হার বিচার করে জানাল সমীক্ষা
অথচ বাস্তবে ঘটল ঠিক উলটোটাই। একদিন প্রতিবেশীদের কেউ তাঁর বেশ কয়েকটি নগ্ন ছবি এসে রেখে গিয়েছিল তাঁর বাড়ির দরজায়। যা হাতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান তাঁর মা-বাবা। এরপর কী হতে পারে, তা ভেবে আতঙ্কিতই ছিলেন বাইশের তরুণী। তবে দেখা গেল, এখানেও রয়েছে চমক। মা-বাবা যতটা ক্ষুব্ধ হবেন ভেবেছিলেন, ঠিক ততটা হননি। কেননা, এই কাজে মেয়ে যে খুশি ছিলেন তা তাঁরা বুঝেছিলেন। তা ছাড়া এর আগে যখন চাকরি করতেন তখন প্রচণ্ড চাপের মধ্যেই কাটত জীবন। নিজের পছন্দের পেশায় সেই চাপ কেটেছে। এখন অনেকটা ফুরফুরে মেজাজেই নিজের কাজ উপভোগ করেন তরুণী। আর তা দেখেই এই কাজ একরকম মেনেই নিয়েছেন তাঁর অভিভাবকরা। আপাতত নিজের পছন্দের কাজই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে কে যে তাঁর নগ্ন ছবি বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তির হদিশ আজও পাননি তিনি।