পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিমি উপরে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন একদল মহাকাশচারী। সেখান থেকেই তাঁরা সাক্ষী হয়েছেন ২০২৩-এর প্রথম সূর্যোদয়ের। তাঁদের তোলা নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়ের সেই ছবিই এবার প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসা। মহাকাশ থেকে নতুন বছর উদযাপনের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন মহাকাশচারীরা। আসুন, শুনে নিই।
পৃথিবীতে ভোরের প্রথম আলো ফোটার বেশ খানিকক্ষণ আগেই মহাকাশ থেকে সূর্যোদয়ের আভাস পাওয়া যায়। মহাকাশে থাকলে প্রতিদিনই সেই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তেমন ভাবেই নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়ের সাক্ষী থাকলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মারফত সেই মাহেন্দ্রক্ষণের ছবি দেখল পৃথিবীবাসীও।
আরও শুনুন: অটোগ্রাফই জীবনবিমা! চাঁদে যাওয়ার আগে কী পরিকল্পনা করেছিলেন মহাকাশচারীরা?
পুরনো বছরের শেষদিকে গবেষণার কাজে মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ৬৮ জন মহাকাশচারীর একটি দল। জাপান, আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপ-সহ বিভিন্ন দেশের মহাকাশচারীদের সম্মিলিত দলটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিমি উপরে থাকা একটি স্পেস স্টেশনে ঘাঁটি গেড়েছে। তাঁদের মধ্যে থাকা জাপানি নভোশ্চর কোইচি ওয়াকাতা ২০২৩ সালের প্রথম সূর্যোদয়ের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছিলেন পৃথিবীতে। সেই ছবিই এবার নেটিজেনদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে নাসা। সেই সঙ্গে পৃথিবী থেকে এতটা উঁচুতে কেমন কেটেছে তাঁদের বর্ষবরণ, সেকথাও জানিয়েছেন ওই মহাকাশচারীরা। তিনি জানিয়েছেন, ইতিহাসে প্রথমবার কোনও মহাকাশচারীর দল এভাবে মহাকাশে ভাসমান অবস্থায় বর্ষবরণ করল। শুধুমাত্র বর্ষবরণ নয় ক্রিসমাসের দিনটিতেও চিরাচরিত নিয়ম মেনে মহাকাশেই উদযাপন করেছেন তাঁরা। ক্রিসমাস ট্রি সাজানো থেকে শুরু করে সান্টা ক্লজকে হাজির করানো, আয়োজনে কোনও কিছুই বাদ রাখেননি তাঁরা। পাশাপাশি তাঁদের দলে থাকা এক রাশিয়ান মহাকাশ গবেষক জানিয়েছেন, এই উপলক্ষ্যে একেবারে বাড়ির মতো করেই তাঁরা স্পেস ষ্টেশনটিকে সাজিয়েছেন। যদিও মাধ্যাকর্ষণহীন জায়গায় সেই কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাঁদের। তবে এমন অভিনব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে বেশ রোমাঞ্চিত তাঁরা সকলেই।
আরও শুনুন: অভিনব ঘটনা, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মহাকাশ থেকে ভেসে এল শুভেচ্ছাবার্তা
তাঁদের এইসব কর্মকাণ্ডের ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করেছে নাসাও। বড়দিন উপলক্ষ্যে সান্টা ক্লজের টুপি পরে তাঁরা যে ছবি তুলেছেন সেই ছবিও গর্বের সঙ্গে শেয়ার করেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি। জানা গিয়েছে, এঁদের এই অভিযান ২০২৩-এর মার্চ মাসে শেষ হবে। তারপরই সদলবলে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন কোইচির দল।