পৃথিবীর যত বিস্ময়কর জিনিসের হদিশ থাকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। এই বইয়ের পাতা ওল্টালেই দেখা যাবে পৃথিবীর সব থেকে লম্বা জিভ কার, কিংবা কার রয়েছে সবথেকে লম্বা গোঁফ। সবথেকে বেঁটে মানুষ কে? আবার সবথেকে লম্বা-ই বা কোন ব্যক্তি? তবে এবার আর একক কৃতিত্বে নয়, একেবারে পারিবারিক প্রচেষ্টায় বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছে একটি গোটা পরিবার। তারাই নাকি বিশ্বের সবথেকে লম্বা পরিবার। তা সে-বাড়ির সদস্যদের উচ্চতা ঠিক কত? এই পরিবারের সদস্যই বা কতজন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
তাঁরা সিনেমাহলে পাশাপাশি যদি বসেন তো পিছনের দর্শকদের সিনেমা দেখার দফারফা। রাস্তা দিয়ে একসঙ্গে হেঁটে গেলে অবশ্যই আশেপাশের লোকজন তাকিয়ে দেখেন, বিস্ময়ে ভাবে, এঁরা এত লম্বা…সত্যি! কারা যাচ্ছে। ঠিকই ধরেছেন, কথা বলছি বিশ্বের সব থেকে লম্বা পরিবার নিয়ে। এই মর্মে তাঁদের নামও উঠে গিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা শহরের বাসিন্দা এই পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা পাঁচ। রয়েছেন কর্তা গিন্নি-সহ তিন ছেলেমেয়ে। আর প্রত্যেকেরই গড় উচ্চতা ৬ ফুট। এমনকী তাঁদের সবার উচ্চতা যোগ করলে যা যোগফল হয়, তাতে প্রায় টেনিস কোর্টের অর্ধেকের সমান তো বটেই।
আরও শুনুন: বারংবার বাংলায় বিদেশি আক্রমণ, রুখতে হিন্দু রাজাদের মতো লড়েছিলেন মুসলমান রাজাও
পরিবারের সর্বকনিষ্ট সদস্য এডামের উচ্চতাই সবথেকে বেশি। বাবা, মা এবং দিদিদের উচ্চতা ছাপিয়ে তাঁর উচ্চতা ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি। স্কুলেও সবসময় ভলিবল বা বাস্কেটবল টিমে খুব সহজেই চান্স পেয়ে যেতেন তাঁরা। বাকিরা সবাই তাঁর কাছাকাছি হলেও বোন সাভানার উচ্চতা ৬ ফুট। মজা করে তিনি বলেন, ‘আমি হলাম বিশ্বের সবথেকে লম্বা পরিবারের সব থেকে বেঁটে মানুষ।’ পরিবারের কর্তা স্কট বলেন, ছোটবেলায় তাঁর উচ্চতা নাকি স্কুলের টিচারদের থেকেও বেশি ছিল। তাঁর উচ্চতার এই অস্বাভাবিকতা প্রথম লক্ষ্য করেন তাঁদের পারিবারিক ডাক্তার। তারপর নিয়মিত মাপজোক করে দেখা যায়, তাঁদের উচ্চতার জন্য ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-ও হয়ে যেতে পারে। সেই মতোই গিনেসের কর্তারা এসে পর্যবেক্ষণ করেন। আর তার পরই তাঁদের নাম উঠে রেকর্ডবুকের পাতায়।
আরও শুনুন: স্তন ছোট বলেই বাদ পড়েছেন সিনেমা থেকে, বলিপাড়ার গুপ্তকথা ফাঁস করলেন রাধিকা
নিজের উচ্চতার সঙ্গে মানানসই কন্যাকেই বিয়ে করেন স্কট, তাঁর স্ত্রী ক্রিস্টিনের উচ্চতাও তাঁরই কাছাকাছি। এর ফলে তাঁদের সন্তানেরাও প্রত্যেকেই লম্বা। তবে এই উচ্চতার জন্য অনেক অসুবিধার মধ্যেও পড়তে হয় তাঁদের। গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ঢুকতে বারবার ঠোকা খেতে হয় মাথায়। আবার যে কোনও জায়গায় গেলেই সবাই প্রশ্ন করেন তাঁদের উচ্চতা নিয়ে। সব মিলিয়ে সাধারণের থেকে একটু অন্য ভাবেই জীবনযাপন করেন এই রেকর্ডধারী বিশ্বের সবথেকে লম্বা পরিবারের সদস্যরা।