একবার না পারিলে দেখো শতবার- এই আপ্তবাক্যকেই বোধহয় জীবনের ধ্রুব সত্য বলে মেনেছেন এই বৃদ্ধ। বয়স ৮০ পেরোলে কী হবে, দশম শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করবেন বলেই পণ করেছেন তিনি। বারবার ফেল করলেও তিনি হাল ছাড়তে নারাজ। আসুন, শুনে নেওয়া যাক এই বৃদ্ধের কথা।
টেনিদার গল্পে জানা গিয়েছিল, টেনিদা যে ঠিক কবে থেকে মাধ্যমিক দিচ্ছে, তার ঠিক নেই। তবে বহুবার পরীক্ষা দিয়েও একবারও সে পাশ করতে পারেনি। দশম শ্রেণিতে প্রায় মনুমেন্টের মতো অনড় হয়েই বসেছিল সে, সেখান থেকে তাকে নড়ায় কার সাধ্যি! এই ব্যক্তিও প্রায় তেমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বললে খুব একটা ভুল হবে না। বারে বারে দশম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েই চলেছেন তিনি। পাশ করার নাম নেই একবারও। মোট ৪৬ বার তিনি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছেন। কিন্তু এতবারের ব্যর্থতা সত্ত্বেও তিনি হাল ছাড়তে নারাজ।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: নিজের সংস্থায় একাধিক কর্মীর ‘বস’ ১৩ বছরের পড়ুয়া, শুনে তাজ্জব শিক্ষিকা
জানা গিয়েছে, শিবচরণ যাদব নামের ওই ব্যক্তি রাজস্থানের আলোয়ারের বাসিন্দা। বয়স ৮০ পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রতি বছর ওই পরীক্ষায় বসেন তিনি। রাজস্থান বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের তত্ত্বাবধানে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দেন তিনি, যা বাংলার মাধ্যমিকের সমতুল্য পরীক্ষা। এই নিয়ে ৪৬ বার ওই পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছেন বৃদ্ধ। তবে পাশ করতে পারেননি। বয়স বেড়েছে, মনে রাখার ক্ষমতা, এমনকি লিখতে পারার ক্ষমতাও ক্রমশ কমছে। কিন্তু দমে না গিয়ে ফের পরের বার পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে একেবারে যে উন্নতি হয়নি তাও বলা ভুল। প্রথমদিকে যেখানে সব বিষয়েই তিনি ফেল করতেন, সেখানে আস্তে আস্তে দেখা যাচ্ছে যে একটি দুটি বিষয়ে কোনোক্রমে পাশ নম্বরটুকু তিনি তুলে ফেলেছেন, অর্থাৎ ১০০-র মধ্যে ৩৪।
আরও শুনুন: জলের নীচের পৃথিবী দেখাই নেশা, সমুদ্রের গভীরে ৭৪ দিন কাটিয়ে বিশ্বরেকর্ড অধ্যাপকের
কিন্তু কেন এতবার পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি? এর উত্তরে নিজের এক ধনুকভাঙা পণের কথা জানিয়েছেন বৃদ্ধ। তিনি নাকি নিজের কাছেই পণ করেছিলেন যে, মাধ্যমিক পাশ না করে বিয়ে করবেন না। আর সেইজন্যই এতদিন ধরে পরীক্ষা দিয়েই চলেছেন তিনি। কিন্তু না পাশ করতে পেরেছেন, না বিয়ে। হাসতে হাসতে বৃদ্ধ বলেন, এখন তো আর বিয়ে করার সুযোগ নেই। তবে বিশ্বরেকর্ড করা যায় কি না, আপাতত সেই লক্ষ্যেই পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন এই বৃদ্ধ।