খিচুড়ি তো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালই। সহজে রান্নাও হয়ে যায়, খেতেও সুস্বাদু, আবার পুষ্টিমূল্যও বেশ বেশি। তবে খিচুড়ি রান্না করা কিন্তু কারওর কারওর জন্য বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে! ভাবছেন নিশ্চয়ই, খিচুড়ি রান্না করলে আবার কী ক্ষতি হতে পারে! ক্ষতি হতে পারে বইকি, এমনকী জেল পর্যন্ত হতে পারে! যেমনটা হয়েছে অসমের এই ব্যক্তির সঙ্গে। খিচুড়ি রেধে শ্রীঘরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি? আসল ঘটনাটা কী? শুনে নিন।
প্রায় কমবেশি সবাই খিচুড়ি খেতে পছন্দ করেন। বর্ষাবাদলে তো খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা- লাজবাব। আবার হাতে তাড়া থাকলেও অনেকেই চালেডালে ফুটিয়ে বানিয়ে নেন চটজলদি খিচুড়ি। মোটের উপরে এই খিচুড়ি কিন্তু দিব্যি কাজের একটা পদ। খিদের মুখে সুস্বাদু তো বটেই, সহজও।
তবে এই খিচুড়িই বিপদে ফেলেছে এক ব্যক্তিকে। শুধু বিপদেই ফেলেনি, টেনে নিয়ে গিয়েছে সোজা শ্রীঘরে। আপাতত এই খিচুড়িপ্রেমীর আস্তানা এখন জেল। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই খুব! না, গোড়া থেকে শুনুন তবে বিষয়টা।
আরও শুনুন: চোরেদের আজব কীর্তি! চুরি হয়ে গেল ৫৮ ফুট লম্বা আস্ত একখানা সেতু
অসমের গুয়াহাটির ঘটনা। হেংবাবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে রাতবিরেতে ঢুকে পড়েছিল ওই ব্যক্তি। সেদিন ওই বাড়িটি ছিল একেবারে ফাঁকা। সে বাড়ির সদস্যরা কোথাও একটা গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই ঢুকে পড়েছিল ওই ব্যক্তি। বুঝতেই পারছেন, কিছু দামী জিনিসপত্র হাতিয়ে পালানোই ছিল উদ্দেশ্য।
তবে চুরি করতে করতে বেজায় খিদে পেয়ে যায় তার। পেটে খিদে নিয়ে কি আর মন দিয়ে চুরি করা যায়! তাই রান্নাঘরে গিয়ে চালে ডালে মিশিয়ে বসিয়েই দেয় খিচুড়ি।
কড়াইতে দিব্যি ফুটছিল খিচুড়ি। কিন্তু ওই খুন্তির ছ্যাকছ্যাকই বিপদে ফেলে দিল চোর বাবাজিকে। ওই শব্দেই জেগে যান পাড়াপ্রতিবেশীরা। ব্যস আর যায় কোথায়! তাঁরাই এসে ধরে ফেলেন চোরটিকে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে।
বেচারা চোর বাবাজি! খিচুড়ি রান্না করাই কাল হল তার। সবচেয়ে বড় কথা, জেলে তো যেতে হলই, ওই খিচুড়িও খাওয়া হল না তার।
আরও শুনুন: প্রিয় রংয়ের সঙ্গেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন কনে, দেখে অবাক অতিথিরা
অসম পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় কয়েক দিন ধরে চোরের আনাগোনা বেড়েছে। তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। তবে খিচুড়ি খেতে গিয়ে চোরের এমন বেমক্কা ধরা পড়ে যাওয়ার ঘটনা শুনে কিন্তু দারুণ মজা পেয়েছেন নেটনাগরিকেরা। ইতিমধ্যেই দিব্যি ভাইরালও হয়ে গিয়েছে সেই গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কেউ কেউ আবার বলেছেন, খিচুড়ি খাওয়া বা রাঁধা দুটোই ভাল। তবে তা নিজের রান্নাঘরে করাই ভাল। মাঝরাতে অন্যের রান্নাঘরে ঢুকে খিচুড়ি রাধতে গেলে এমন বিপদ তো হবেই।