ভারতীয় পর্যটকদের ঝোঁক বাড়ছে মন্দির দর্শনে। এদিকে বিদেশীদের পছন্দ এখনও সেই তাজমহল। সমীক্ষায় ধরা পড়ল বছরভর পর্যটকদের ঘোরার হিসাব। কোন মন্দির সবথেকে পছন্দের ভারতবাসীর? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম। প্রতিবছর তাজমহলে ভিড় জমে হাজার হাজার পর্যটকের। তবে সেখানে ভারতীয়রা সংখ্যায় কম। সমীক্ষায় ধরা পড়ছে এমনই তথ্য। বরং তাজমহল দর্শনে ঝোঁক বাড়ছে বিদেশীদের।
এ দেশে পর্যটন ক্ষেত্রের কমতি নেই। উত্তরে পাহাড় থেকে দক্ষিণের সমুদ্র, প্রকৃতির টানে গোটা বিশ্বের মানুষ ছুটে আসেন ভারতে। স্রেফ প্রকৃতি নয়, মানুষের তৈরি বিখ্যাত সব স্থাপত্যের টানেও এ দেশে ছুটে আসেন অনেকেই। দর্শনীয় জায়গার তালিকায় এতদিন সবার উপরে থাকত তাজমহলের নাম। শাহজাহানের তৈরি এই সৌধ নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক, এর সৌন্দর্যের সামনে সবকিছু ফিকে হয়ে যায়। পূর্ণিমার রাতে শ্বেতশুভ্র তাজমহল দেখতে দূরদূরান্ত থেকে হাজির হন পর্যটকরা। তবে ভারতীয়রা এই ভিড়ে সংখ্যালঘু। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, তাজমহলে মূলত ভিড় জমাচ্ছেন বিদেশীরাই। এদিকে ভারতীয়দের ঝোঁক বেশি মন্দিরে।
রামন্দির প্রতিষ্ঠার পর রেকর্ড ভিড়ের সাক্ষী ছিল অযোধ্যা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ রামলালার দর্শনে হাজির হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় বাজেটেও মন্দির পর্যটনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। তার ফলও মিলছে। দেশের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ধর্মীয় স্থানে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। তবে এক্ষেত্রে সংখ্যায় বেশি ভারতীয়রাই। সমীক্ষা বলছে, তাজমহলের বদলে ভারতীয়রা ভিড় জমাচ্ছেন বারানসীতে। গন্তব্য বিশ্বনাথ মন্দির। শুধু মন্দির নয়, বিজেপি আমলে কাশী শহরও নতুন করে সাজানো হয়েছে। যা দেখার মতো বলেই দাবি পর্যটকদের। তাই ভিড়ও বাড়ছে উত্তরোত্তর। সাম্প্রতিক সমীক্ষাটি আয়োজন করেছিল উত্তরপ্রদেশের পর্যটন বিভাগ। এতদিন সে রাজ্যের আগ্রা শহরটিই পর্যটকদের সবথেকে বেশি পছন্দের ছিল। বিদেশীরা তো বটেই, দেশের মানুষও আগ্রা ভ্রমণ বেশি পছন্দ করতেন। উপলক্ষ সেই তাজমহল। তবে এবারের সমীক্ষায় ছবিটা বেশ বদলেছে। বিদেশীদের পছন্দ এখনও সেই আগ্রা, তাজমহল। তবে দেশের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বারানসী বা এলাহাবাদে। নেপথ্যে মন্দির ভ্রমণের জনপ্রিয়তাকেই দায়ী করছেন সে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর। আগামীদিনে এই ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। পর্যটনের উন্নতি হলে তার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে বাধ্য। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতীয়দের মতো বিদেশীরাও যাতে কাশীভ্রমণে উদ্যোগী হন, সেই ব্যবস্থাও করতে চাইছে সে রাজ্যের পর্যটন বিভাগ।