এত এত খেলনা আসে যায়, কিন্তু টেডি বিয়ারের প্রতি মানুষের ভালবাসা ফুরোয় না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুগ্ধ হয়ে আছে এই ভাল্লুকের জাদুতে। কিন্তু জানেন কী, এই খেলনার জন্মের নেপথ্যে আমেরিকার এক বিখ্যাত রাষ্ট্রপতি?
একটাও টেডি বিয়ার নেই, এমন বাড়ি বোধহয় সাত রাজ্য খুঁজেও মিলবে না। ছোটবেলায় কখনও না কখনও আপনার খেলার সঙ্গী হয়েছে মজাদার ভাল্লুকটি। বড় হলেও কি পিছু ছাড়ে সে? কোনও ছোট্ট মানুষকে উপহার দিতে গেলে তো তার কথা মনে পড়বেই, এমনকী প্রেমিকার মান ভাঙাতেও তার জুড়ি নেই। টেডির জন্য বরাদ্দ হয়েছে একটা গোটা দিনও। কিন্তু জানেন কি, টেডি বিয়ারের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন এক বিখ্যাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
আরও শুনুন: অলিম্পিকে হিটলারের সঙ্গে হ্যান্ডশেক, এক ছবিতেই প্রাণ বেঁচেছিল এই অ্যাথলিটের
গল্পটা শুনুন তবে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি তখন থিওডর রুজভেল্ট। তখনও খুব বেশি লোকের আজকের মতো বন্যপ্রাণী রক্ষা নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না। সুতরাং অনেকেই ছুটিছাটায় শিকারে যেতে ভালবাসতেন। এরকমই, একবার শিকারের নেমন্তন্ন পেয়েছেন রুজভেল্ট। মিসিসিপির গভর্নরের ডাকে, সেখানকার জঙ্গলে গিয়েছেন শিকার করতে। কিন্তু সেদিন প্রেসিডেন্টের কপাল মন্দ। আর সবাই দিব্যি জন্তুজানোয়ার পেয়েছেন, কিন্তু তাঁর হাত ফাঁকা। নিছক খেলা হলেও, সাধারণ লোক কখনও বসকে হারাতে চায় না, পাছে তিনি চটে যান! আর এখানে তো আমেরিকার মতো একটা দেশের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে কথা। তাঁরই সম্মানে শিকারের আয়োজন, আর তিনি খালি হাতে ফিরবেন, তা কি হয় কখনও! অতএব, প্রেসিডেন্টের এক সঙ্গী একটা ফন্দি আঁটলেন। তিনি কায়দাকানুন করে ধরে ফেললেন একটা কালো ভাল্লুকের বাচ্চাকে। তারপর তার গলায় দড়ি বেঁধে টানতে টানতে এনে হাজির করলেন প্রেসিডেন্টের সামনে। বললেন, নিন হুজুর, এটাকে মারুন। বাচ্চাটা তখন এমনিতেই মৃতপ্রায়। অতটুকু একটা প্রাণীকে শিকারে হাত উঠল না রুজভেল্টের। অন্য একজন তার ভবযন্ত্রণা সাঙ্গ করলেন।
আরও শুনুন: ৯০ পয়সার চামচের দাম নিলামে উঠল ২ লাখ টাকা পর্যন্ত, কেন জানেন?
কিন্তু খবর তো চাপা থাকে না। এই কাণ্ডটা রটে গেল মুখে মুখে। আর ওয়াশিংটন পোস্ট-এ এই নিয়ে একটা কার্টুনও এঁকে ফেললেন ক্লিফোর্ড ব্যারিম্যান। ঘাবড়ে যাওয়া মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বেচারা ভাল্লুকটা রাতারাতি বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠল।
বাকি গল্প শুনে নিন প্লে-বাটনে ক্লিক করে।