কথায় আছে চায়ের সঙ্গে টা না হলে ঠিক জমে না। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই জায়গাটি নিয়ে থাকে বিস্কুট। গরম চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খেতে ভালবাসেন অনেকেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, চায়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য কোন বিস্কুট সবথেকে উপযোগী? রীতিমতো পরীক্ষা করে সে উত্তর দিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
চায়ের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য জুটি বিস্কুটের। আর চা খাওয়ার অবকাশটুকুতে আরও মাধুর্য যোগ করতেই বিস্কুটেরও বৈচিত্র্যের শেষ নেই। বিশ্বজোড়া জনপ্রিয়তার দৌলতে বিস্কুট নির্মাণ সংস্থার সংখ্যাও কম নয়। তাদের দৌলতে বাজারে প্রচলিত নানারকম রং ঢং আর রকমারি স্বাদ গন্ধের বিস্কুট। কিন্তু চায়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য কোন বিস্কুট সবথেকে উপযোগী, তা কি জানেন? এবার বিভিন্ন বিস্কুট নিয়ে পরীক্ষা করে সেই উত্তরই দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী।
আরও শুনুন: টুইটারে উত্তর দিয়েছেন স্বয়ং শাহরুখ খান, স্ক্রিনশট বাঁধিয়ে রাখলেন ‘জাবরা ফ্যান’
স্বাদের দিক দিয়ে দেখতে গেলে বিস্কুট মূলত দুপ্রকার। কিছু বিস্কুট একেবারেই মিষ্টি জাতীয়, আবার কিছু বিস্কুট নোনতা গোত্রের। মশলা যোগ করে অনেক সময় ঝাল বিস্কুট বানানো হলেও স্বাদের দিক দিয়ে নোনতাই হয়। কিন্তু উপাদানের ভিত্তিতে বিচার করলে অনেক ভাগে বিস্কুটকে ভাগ করা যায়। প্রথমে ময়দা দিয়ে তৈরি করা হলেও, বর্তমানে ওটস, বাদাম, চকোলেট প্রভৃতি বিভিন্ন উপাদানেরই বিস্কুট হয়। স্বাভাবিকভাবেই উপাদানের উপর নির্ভর করে বিস্কুটের স্বাদ ও গঠনেও বিশেষ কিছু পার্থক্য লক্ষ করা যায়। সেই ভিত্তিতেই এক অদ্ভুত পরীক্ষার আয়োজন করেছিল এক মার্কিন বিজ্ঞান সংস্থা। চায়ের সঙ্গে উপযোগী বিস্কুট নির্বাচন করার জন্যই এই পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিল সংস্থাটি। এক্ষেত্রে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, এক, বিস্কুটটি চায়ে ডোবানোর ঠিক কতক্ষণ পরে ভেঙে পড়ছে। এবং একবার চায়ে ডুবিয়ে নেওয়ার পরে তার মচমচে ভাব কতটা বজায় থাকছে। একটি সমীক্ষার মাধ্যমে সংস্থাটি জানতে পারে, সারা বিশ্বে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া অধিকাংশ মানুষই চায়ে ডুবিয়ে বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখেই পরীক্ষার মাপকাঠি ঠিক করা হয়েছিল।
আরও শুনুন: কোনও পোশাকই পছন্দ নয় পরিচালকের, শেষমেশ জ্যাকির গেঞ্জি পরেই শুটিং উর্মিলার
বিভিন্ন উপাদানের কিছু বিস্কুট নিয়ে এই পরীক্ষাটি করা হয়েছিল। যার মধ্যে সবথেকে উপযোগী বিস্কুট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে ওটস দিয়ে তৈরি বিস্কুটটি। গবেষকদের মতে এই ওটসের বিস্কুটই নাকি চায়ে ডোবানোর পর সবথেকে বেশি সময় অভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। পাশাপাশি একবার চায়ে ডোবানোর পরেও এর মুচমুচে ভাব একেবারে কমে যায়নি। তালিকায় তারপরেই রয়েছে ডাইজেসটিভ বিস্কুট। এই বিস্কুটেরও মূল উপাদান হিসেবে থাকে ওটস। তবে তার সঙ্গে আরও কিছু উপাদান রাখার জন্য ওটস বিস্কুট অপেক্ষা এর ভঙ্গুরতা কিছুটা বেড়েছে। তবে তালিকায় থাকা পরের বিস্কুটগুলি নাকি চায়ের সঙ্গে একেবারেই উপযোগী নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষত অতি জনপ্রিয় কোনও কোনও বিস্কুটও একবার চায়ে ডোবালেই স্বাদহীন হয়ে পড়ে বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। শেষমেশ, চায়ের জন্য সবথেকে উপযোগী বিস্কুট হিসেবে ওই পরীক্ষায় শিরোপা জিতে নিয়েছে ওটস বিস্কুটই।