যৌনসুখের খোঁজে লক্ষ্মীলাভ! বিষয়টা খানিক তেমনই। এক বছরের তথ্য বলছে, যৌন উদ্দীপক বা এই সংক্রান্ত জিনিস বিক্রির হার বেড়েছে রমরমিয়ে। লাভও হয়েছে ঢের। ঠিক কী জানাচ্ছে সমীক্ষা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ইচ্ছা আছে, উপায় নেই। সমস্যা বলতে অক্ষমতা। তাও এমন বিষয়ে, যা অন্য কারও সঙ্গে আলোচনায় ঘোর আপত্তি। ঠিক ধরেছেন, যৌনতা বিষয়ে সমস্যার কথাই বলছি। এ দেশে যৌনতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন না অনেকেই। তবে সাম্প্রতিক হিসাব বলছে সেই ছবি অনেকটা বদলেছে। রাখঢাক ছেড়ে যৌনসুখের খোঁজে মজেছেন ভারতীয়রা। তাতেই বাড়ছে বাণিজ্য। বিগত এক বছরে যৌন উদ্দীপক তথা এই ধরনের সামগ্রী বিক্রির হার অনেকটাই বেড়েছে।
যতই ছুঁতমার্গ থাকুক, যৌনতা পছন্দ নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এমনটা অস্বাভাবিকও নয়। প্রকৃতির নিয়মেই প্রত্যেকের যৌন উদ্দীপনা থাকে। তফাৎ শুধু চাহিদায়। নিয়মিত যৌনতায় মাততে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই কারও। কেউ আবার পছন্দ করেন অন্তত কয়েকদিনের বিরতি। অনেকের আবার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। বাধ সাধে শারীরিক অক্ষমতা। নিরাময়ের উপায় রয়েছে হাজার। কিন্তু লজ্জা কাটিয়ে সে কথা প্রকাশ্যে বলবে কে? সচেতনতা প্রচার হলেও এ বিষয়ে সঠিক ধারণা নেই অনেকেরই। সেই সুযোগ নেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ভুয়ো ওষুধের ফাঁদে ফেলে অনেকের জীবন নষ্ট করেছেন এঁরা। তবে সেই প্রবণতা এবার কিছুটা হলেও কমছে। রাখঢাক ছেড়ে নিজের সমস্যার সঠিক পথে সমাধান করতে চাইছেন অনেকেই। তাতেই লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের। জনপ্রিয় কিছু সংস্থা, যারা মূলত যৌনও উদ্দীপক প্রস্তুত করে, তাঁদের লাভ বাড়ছে লাফিয়ে। বিভিন্ন ওষুধ যা যৌন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে সেসবের বিক্রিও বেড়েছে। এমনকি সেক্স টয় জাতীয় সামগ্রীর চাহিদাও আগের তুলনায় বেড়েছে বলেই দাবি সমীক্ষার।
শরীরে সুখ মিললে কমে যায় মনের উদ্বেগ। এমনটা বিশেষজ্ঞরাই দাবি করেন। আর মনের সুখ কমিয়ে দেয় অন্যান্য অসুখ। তাই রোগ সারাতে যৌনতার জুড়ি মেলা ভার, এমনটাও বলাই যায়। আসলে, সঙ্গমের ফলে যে হ্যাপি হরমোন ক্ষরণ হয় আর তাতেই কাজ হয় ম্যাজিকের মতো। একইসঙ্গে যৌনতাও এক ধরনের শরীরচর্চা। তাই এতে শরীরের উপকার হবে এমনটা বলাই বাহুল্য। তবে তৃপ্তি না মিললে ফল হবে উলটো। নিজের তো বটেই, সঙ্গীর উপরও তার প্রভাব পড়বে। সেক্ষেত্রে আগেভাগে সচেতন হলে সমস্যা নেই। সঠিক পথে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে যৌনতায় কোনও সমস্যা থাকবে না। এক্ষেত্রে আয়ুর্বেদে ভরসা রাখেন অনেকে। প্রাকৃতিক যৌনও উদ্দীপক হিসেবে ভায়াগ্রা, শিলাজিৎ জাতীয় বিভিন্ন ভেষজ ব্যবহারের চল রয়েছে। বানিজ্যিক সংস্থাও যৌন উদ্দীপকের বিজ্ঞাপনে এইসব ভেষজের কথা উল্লেখ করেন। হিসাব বলছ বিগত এক বছরে, সামগ্রিক ভাবে ১৭ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে এইসব যৌন উদ্দীপকের। আলাদাভাবে প্রতিটি ভেষজ ওষুধ বিক্রি হিসাবও দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে চাহিদা তুঙ্গে। আগামীদিনেও এই চাহিদা এবং বিক্রির হার উর্ধমুখী থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেভাবে গত এক বছরে যৌনসুখের খোঁজে যাবতীয় ছুঁতমার্গ ভুলেছেন ভারতীয়রা, তা আগামীদিনে আরও বাড়বে বই কমবে না। সেক্ষেত্রে লক্ষ্মীলাভও একইভাবে বজায় থাকবে বলে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল।